বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে সমর্থন, সমালোচনার মুখে প্রিন্স উইলিয়াম

ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স উইলিয়াম বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে সমর্থন করবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সম্প্রতি নিজ দেশের প্রতি সমর্থনের কথা প্রকাশ করায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। ওয়েলসের অভিনেতা মাইকেল শিন টুইটারে তার কড়া সমালোচনা করেছেন।

বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে সমর্থন, সমালোচনার মুখে প্রিন্স উইলিয়াম

৫৩ বছর বয়সী এই অভিনেতা বলেছেন, উইলিয়াম, যিনি প্রিন্স অব ওয়েলস উপাধির অধিকারী, তিনি কাতার বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড জাতীয় দলকে প্রকাশ্যে সমর্থন করার কথা জানাবেন তা মেনে নেওয়া যায় না।

১৬ নভেম্বর, বুধবার টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘অবশ্যই, তিনি যাকে চান তাকে সমর্থন করতে পারেন। এছাড়া এফএ’র প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার ভূমিকাও উপলব্ধি করা যায়। তবে অবশ্যই তিনি একই সময়ে প্রিন্স অব ওয়েলস উপাধিও ধারণ করেন। ফলে এটা তার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত।'

ওয়েলসের অভিনেতা মাইকেল শিন

প্রিন্স উইলিয়ামের পক্ষে বিপক্ষে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। টুইটারে একজন লিখেছেন, তিনি ইংরেজ, তিনি ইংল্যান্ডকে সমর্থন করতে পারেন। আসলে তিনি যাকে চান তাকেই সমর্থন করতে পারেন। তবে প্রিন্স অব ওয়েলস উপাধি তার ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি আমাদের অর্থাৎ ওয়েলসের জনগণের জাতীয় পরাধীনতাকে বোঝায়। এটির এখনই অবসান হওয়া উচিত।   

এদিকে এতসব সমালোচনার মুখে প্রিন্স উইলিয়াম জানিয়েছেন, বিশ্বকাপে তিনি ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস দুই দলকেই সমর্থন করবেন। প্রসঙ্গত, প্রিন্স উইলিয়াম ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) প্রেসিডেন্ট। 

এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস বি গ্রুপে পড়েছে। গ্রুপের অপর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলি হচ্ছে ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্র। ২৯ নভেম্বর গ্রুপ ম্যাচে পরস্পরের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-ওয়েলস। এই ম্যাচে প্রিন্স উইলিয়াম কোন দলের পক্ষে সমর্থন জানান তা দেখার জন্য অপেক্ষা করে আছে ওয়েলসের জনগণ।

উল্লেখ্য, ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড এই ৪টি সাংবিধানিক রাষ্ট্র নিয়ে যুক্তরাজ্য গঠিত। ইউরোপের মূল ভূখণ্ডের উত্তর-পশ্চিম উপকূলের কাছে অবস্থিত একটি স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য। এর সরকারি নাম ইউনাইটেড কিংডম অব গ্রেট ব্রিটেন এন্ড নর্দান আয়ারল্যান্ড।

সূত্র: মার্কা