বিশ্বকাপে শুরুতেই অফসাইড গোল বিতর্ক

গ্যালারির দর্শকেরা আরাম করে ঠিকঠাক বসতে পারেননি। এরই মধ্যে স্বাগতিক কাতারের জালে জড়িয়ে গেল বল! উল্লাসে মেতে ওঠে ইকুয়েডর। যদিও কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই থেমে যায় অতিথিদের উদযাপন। ম্যাচের ১৬০ সেকেন্ডে হওয়া গোলটা বাতিল হয়ে যায়। ভিএআরের সহায়তা নিয়ে রেফারি জানান গোলটা অফসাইড ছিল।

বিশ্বকাপে শুরুতেই অফসাইড গোল বিতর্ক

ইকুয়েডরের বাতিল হওয়া এই গোল নিয়ে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। কেউ জেনে, কেউ না জেনে জড়িয়েছেন এই বিতর্কে। প্রশ্ন উঠেছে, ইকুয়েডর ফরওয়ার্ড এস্ত্রাদা কাতার গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারের মাঝখানে থাকা সত্ত্বেও কেন অফসাইড হলেন তিনি? অফসাইড আইনের মারপ্যাচটা সেখানেই।

কাতারের ডি-বক্সে ইকুয়েডরের ক্রস উড়ে আসছিল। তখন এগিয়ে যান স্বাগতিক গোলকিপার সাদ আল শিব। উড়ে আসা বলটিকে পাঞ্চ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পারেননি। তালগোল পাকিয়ে যায়। সুযোগ পেয়ে দারুণ এক হেডে গোল করেন ইকুয়েডর স্ট্রাইকার ও অধিনায়ক ইনার ভ্যালেন্সিয়া।

মুহূর্তেই অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। পরে ভিএআরের সহায়তায় গোল বাতিল করেন রেফারি। কারণ, নিয়ম অনুসারে ডিফেন্ড করা দলের গোললাইন সামনে থাকা খেলোয়াড়কে শেষ ডিফেন্ডার হিসেবে ধরা হয়। গোলরক্ষক এস্তোদার সামনে চলে গেলেও কোনো সমস্যা হয়নি। দর্শকদের অজ্ঞতা ও বিশ্রান্তির কারণটা অবশ্য যথার্থ।

গোললাইনের সামনে সাধারণত প্রতিরোধ গড়ে থাকেন গোলরক্ষকই। তাকেই শেষ ডিফেন্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে গোলরক্ষক গোললাইন সীমানা পেরিয়ে চলে গেছেন কয়েক হাত সামনে। তখন তার পেছনে থাকা ডিফেন্ডারকেই শেষ প্রতিরোধক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

তাই কাতারি দুই ফুটবলারের মাঝামাঝিতে থেকেও অফসাইডের ফাঁদে পড়েছেন এস্ত্রাদা। এক্ষেত্রে বোঝার স্বার্থে বিষয়টি আরেকটু সহজ করে বলা যেতে পারে। কাতার ডিফেন্ডারকে গোলরক্ষক আর গোলরক্ষককে ডিফেন্ডার ভূমিকায় ভাবলেই বিষয়টি অরও পরিষ্কার হয়ে যায়।

এভাবে গোল বাদ হওয়ার ঘটনা অবশ্য কালেভদ্রে দেখা যায়। ২০১৪ বিশ্বকাপেও এমন অফসাইডে গোল বাতিল হয়েছে। সবশেষ কয়েক মাস আগে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে প্রথমার্ধের শেষ দিকে রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার করিম বেনজেমার গোল বাতিল হয়েছিল। লিভারপুলের বিপক্ষে রিয়ালের সেই ম্যাচেও কালকের বিশ্বকাপ উদ্বোধনী ম্যাচের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল।