তার কোরআন তেলাওয়াতে পর্দা উঠল বিশ্বকাপের

৯২তম বছরে এসে নতুন অনেক কিছুর সাক্ষী হলো ফিফা বিশ্বকাপ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরতে পরতে ছিল চমক। তবে চমক বা কৌতুহলের কেন্দ্র বিন্দুতে চলে আসেন ২০ বছর বয়সী যুবক ঘানিম আল মুফতাহ। বিশেষভাবে সক্ষম এ যুবক এই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে কোরআন তেলাওয়াতও করেছেন।

মর্গান ফ্রিম্যানের সঙ্গে ঘানিম আল মুফতাহ

মানবদরদি হিসেবে পরিচিত ঘানিম গতকাল রোববারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে হাজির হন দু’হাতে ভর দিয়ে। পরে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা মর্গান ফ্রিম্যানের সঙ্গে। এ সময় তিনি কোরআনের কিছু অংশ পাঠ করেন। এর পরপরই তাকে নিয়ে কৌতুহল শুরু হয়। সবার মধ্যে প্রশ্ন জাগে কে এই ঘানিম আল মুফতাহ।

কডাল রিগ্রেশন সিন্ড্রোমে আক্রান্ত ঘানিমের পা নেই জন্ম থেকেই। তাই হাতের ওপর ভর দিয়ে চলাফেরা করেন তিনি। তবে এসব প্রতিকূলতা তাকে দমাতে পারেনি। ২০ বছর বয়সী এ যুবক এখন কাতারের জনপ্রিয় ইউটিউবার, একজন জনপ্রিয় মোটিভেশনাল স্পিকার ও মানবসেবী। আইসক্রিমের ব্যবসাও আছে তার।

মনোমুগ্ধকর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

ঘানিম এবারের বিশ্বকাপে ফিফার মনোনীত শুভেচ্ছাদূত। যুক্তরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ঘানিম জানান, ফিফা বিশ্বকাপের একজন শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আমি মানুষের মধ্যে আশা, শান্তি ও ঐক্যের বার্তা পাঠাতে চাই।

ঘানিম তার পরিবারের সহায়তায় তৈরি করেছেন এমন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, যারা তার মতো পায়ে চলাচলে অসমর্থ লোকজনকে হুইলচেয়ার উপহার দেয়। মানবদরদি কাজের জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত ঘানিমকে ২০১৪ সালে কুয়েতের আমির শেখ শাবাহ আল আহমদে আল শাবাহ ‘শান্তির দূত’ আখ্যা দেন।

জানা গেছে, পায়ে চলাচলে অক্ষম হলেও ঘানিমের পছন্দের খেলা ফুটবল। স্কুলজীবন থেকেই তিনি হাতে ভর দিয়ে বিশেষভাবে ফুটবল খেলে আসছেন। প্যারা-অলিম্পিকে খেলার ইচ্ছে নিয়ে তিনি ফুটবল খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।