‘এই জীবনে ব্যথা যত, এইখানে সব হবে গত’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই অমিয়বাণী ধারণ করে মহামারি করোনাকাল কাটিয়ে আয়োজিত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব। বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার আয়োজনে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ উৎসবের আসর বসছে আগামী শুক্র ও শনিবার।

rabindra utsabজাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক-শিল্পীরা

বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা ১৯৮৮ সাল থেকে দেশে রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং এ গানের নবীন শিল্পীদের বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে। করোনার কারণে প্রায় তিন বছর বন্ধ থাকার পর সরাসরি মঞ্চে ফিরছে এই উৎসব।

বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও কণ্ঠশিল্পী পীযূষ বড়ুয়া আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আগামী ২৫ ও ২৬ নভেম্বর দুই দিনের এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিটিউট মিলনায়তনে। শুক্রবার সকাল ১০টায় উৎসব উদ্বোধন ও গুণীজন সম্মাননা দেবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

এবারের উৎসবে গুণীজন সম্মাননা পাচ্ছেন বরেণ্য বাচিকশিল্পী আশরাফুল আলম এবং বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম। দুজনেই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার সভাপতি রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী তপন মাহমুদসহ উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি খন্দকার খায়রুজ্জামান কাইয়ুম, বুলা মাহমুদ, কাজল মুখার্জী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক (সাধারণ) তানজিমা তমা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক (পরিকল্পনা) সাগরিকা জামালী, অর্থ সম্পাদক কনক খান, দপ্তর সম্পাদক সীমা সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক রিফাত জামাল মিতু এবং নির্বাহী সম্পাদক শর্মিলা চক্রবর্তী, আহমেদ শাকিল হাসমী, সাজ্জাদ হোসেন, জাফর আহমেদ ও রাবিতা সাবাহ।

সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়, ২৫ নভেম্বর সকাল ১০টায় উৎসব উদ্বোধন ও সম্মাননা প্রদান শেষে বেলা ১১টা থেকে হবে সঙ্গীত পরিবেশনা। মাঝে বিরতি নিয়ে বিকাল ৫টা থেকে হবে আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠান। পরদিন ২৬ নভেম্বর (শনিবার) বিকাল ৫টা থেকে হবে আবৃত্তি ও সঙ্গীতানুষ্ঠান।

এবারের উৎসবের সারা দেশ থেকে প্রায় ২০০ শিল্পী একক ও দলীয় পরিবেশনায় অংশ নেবেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বুলবুল ইসলাম, ফাহিম হোসেন চৌধুরী, রোকাইয়া হাসিনা, অদিতি মহসিন, ড. অরূপ রতন চৌধুরী, চঞ্চল খান, লিলি ইসলামসহ বেশ কয়েকজন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী।

উদ্বোধনী পর্বে অংশ নেবে পাঁচটি সঙ্গীত দল। দলগুলো হলো- সুরতীর্থ, সঙ্গীতভবন, বিশ্ববীণা, বুলবুল লতিকলা একাডেমী (বাফা) ও উত্তরায়ণ। জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে।