সিইওকে অবরুদ্ধ করে সিটিসেলকর্মীদের অবস্থান ধর্মঘট

দেশের প্রথম মোবাইল অপারেটর কোম্পানি সিটিসেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বকেয়া বেতন আদায়ের দাবীতে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহবুব চৌধুরীসহ চার কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ রেখে অবস্থান ধর্মঘট করছেন।

মঙ্গলবার সিটিসেলের প্রধান কার্যালয় মহাখালীর প্যাসিফিক সেন্টারের ১২ তলায় সিইওর কক্ষের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

এই উপলক্ষে প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (পিবিটিএলইইউ) একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। পিবিটিএলইইউ'র যোগাযোগ সম্পাদক মাহজাবিন মিতালী বলেন, “সিটিসেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৫ মাসের বেতন এবং দুটি বোনাস বাকি রয়েছে। ২২ নভেম্বর এই বকেয়া পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু তারা আজ আরও সময় চাচ্ছেন।'

তিনি জানান, এর আগে তিন দফায় সময় নেয়া হয়েছিল কিন্তু কোন ফলাফল আসেনি। তাই আর নতুন করে সময় দিতে রাজি নন তারা। মাহজাবিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'ঢাকা শহরে একটা মানুষ ৫ মাস বেতন না পেলে কী করে চলবে! তাদেরকে আর সময় দেয়া আর সম্ভব নয়। পাওনা পরিশোধ না করা পর্যন্ত আমরা ধর্মঘট চালিয়ে যাবো। কাল থেকে সিটিসেল প্রাঙ্গণে আমরা অনশন শুরু করবো।'

সিইওসহ বড় কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করা হয়েছে কিনা এ সম্পর্কে মাহজাবিন বলেন, 'তাদের আমরা অবরুদ্ধ বলছি না। আমরা শুধু তার কক্ষের সামনে অবস্থান গ্রহণ করেছি। তিনি যদি চান তাহলে আমাদের এই অবস্থানের ওপর দিয়ে চলে যেতে পারেন।'

জানা যায়, সিইও ছাড়া চিফ টেকনিক্যাল অফিসার মাহফুজুর রহমান, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার তারিকুল হাসান ও কমার্শিয়াল কম্পট্রোলার জিয়াউর রহমান অবরুদ্ধ রয়েছেন।

এর আগে গত ২০ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ বাতিল করে মোবাইল অপারেটরটির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল বিটিআরসি। এরপর সিটিসেল কর্তৃপক্ষ তরঙ্গ ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে আপিল করলে গত ৬ নভেম্বর আদালতের নির্দেশে মোবাইল কোম্পানিটির কার্যক্রম আবার চালু হয়। এরপর বিটিআরসির পৌনে পাঁচশো কোটি টাকা বকেয়ার মধ্যে অক্টোবরে ১৩০ কোটি এবং নভেম্বরের ১৭ তারিখ আরও ১০০ কোটি টাকা পরিশোধ করে সিটিসেল।

আপনি আরও পড়তে পারেন

মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও করবে ইসলামী আন্দোলন

সাখাওয়াত: লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি

রিজভীকে সাত দিনের মধ্যে পাসপোর্ট দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত

সিসি ক্যামেরায় রাষ্ট্রদূতের ‘ব্যাগচোর’