সারা দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি কোনোভাবেই স্বাভাবিক করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এডিস মশা দমনে তাদের কোনো পদক্ষেপই কাজে আসছে না।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি কোনোভাবেই স্বাভাবিক করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এ বছর ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ২৪২ জন, যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। এছাড়া ৫২ হাজার ৯৩৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যদিও দেশের অনেক হাসপাতালের তথ্য পায় না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এমন পরিস্থিতিতে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নতুন উপায় খুঁজছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
ডিএনসিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কীটনাশক ছিটানোর পাশাপাশি এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নতুন উপায় খোঁজা হচ্ছে। তারা চিন্তা করছেন এডিস মশার নিয়ন্ত্রণে ওলবাকিয়া নামে ব্যাকটেরিয়া সংযোজিত পুরুষ মশা ব্যবহার করবেন। অপরদিকে, ডিএসসিসির মেয়র বলছেন, মশা নিয়ন্ত্রণে গবেষণা প্রয়োজন। প্রয়োজনে গবেষকদের অর্থায়ন করতেও প্রস্তুত মেয়র।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান জানান, ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্ট ও জিওলজিক্যাল সায়েন্স বিভাগের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা একটি পদ্ধতির কথা আমাদের জানিয়েছে, সেটা হলো, ওলবাকিয়া সংযোজিত পুরুষ মশা ব্যবহার করে ডেঙ্গু মশাকে নিয়ন্ত্রণ করা। ওলবাকিয়া ব্যাটেরিয়া যুক্ত মশা জম্মদানে অক্ষম। তাই এ মশা প্রকৃতিতে ছড়িয়ে দিলে স্ত্রী এসিড মশার সাথে মিলিত হবে। এতে স্ত্রী মশা আর বাচ্চা জন্ম দিতে পারবে না। ফলে আস্তে আস্তে মশার সংখ্যা কমে আসবে। ডেঙ্গুও কমে যাবে।’
তিনি বলেন, এ পদ্ধতিটি আমাদের দেশে পাইলটিং করতে পাচ্ছে মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্ট ও জিওলজিক্যাল সায়েন্স বিভাগ। আমরাও এতে রাজি হয়েছি।
এদিকে ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরা বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখেছি। এডিস মশার বিবর্তন, সময়সীমার পরিবর্তন দেখেছি। এ বিষয়ে আমাদের পূর্বাভাস প্রয়োজন। অক্টোবর পেরিয়ে নভেম্বর মাসও শেষের পথে, শুষ্ক মৌসুম চলছে। কিন্তু এখনো এডিস মশার বিস্তার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতদিন এডিস মশার প্রাদুর্ভাব থাকার কথা না। তাই এ বিষয়ে আমাদের আরও বেশি গবেষণা প্রয়োজন। সেজন্য যদি কোনও বরাদ্দ প্রয়োজন হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তা দিতেও প্রস্তুত আছে।