পুঁতির মালা গেঁথে বিশ্ব রেকর্ড
- Details
- by নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্ব রেকর্ড বলে কথা! এক ঘণ্টায় সবচেয়ে বড় পুঁতির মালা গেঁথে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেছেন ঢাকার মেয়ে আনিসা। সুনাম কুড়িয়েছেন বাংলাদেশি পুঁতি শিল্পী (বিড আর্টিস্ট) হিসেবে।
গিনেজ রেকর্ডের সনদ হাতে আনিসা মুরশেদ
পুরো নাম আনিসা মুরশেদ। অনলাইন মার্কেটিং ও কনটেন্ট বিশেষজ্ঞ আনিসা নিজের শখের পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন পুঁতি শিল্পকে। পুঁতির নান্দনিকতা তুলে ধরতে তিনি ‘হেই অ্যানিসা’ প্রোজেক্ট শুরু করেছিলেন ২০২১ সালে। তাতে ভিডিওর মাধ্যমে তিনি সৃজনশীলভাবে তুলে ধরেন পুঁতির অনন্য কারুকাজ।
পুঁতিশিল্পী আনিসা চলতি বছরের আগস্টে গিনেজ রেকর্ডের জন্য পরীক্ষা দেন। এর আগেও পুঁতির মালা গাথায় রেকর্ড ছিল। পূর্ববর্তী রেকর্ডে গাঁথা হয়েছিল ৩২.৭ মিটারের মালা।
পুঁতির মালা গাঁথছেন আনিসা
তবে একা এক ঘণ্টায় তার চেয়ে ১০ মিটার লম্বা মালা গাঁথতে সক্ষম হয়েছেন আনিসা। আগের রেকর্ড ভাঙতে আনিসা এক ঘণ্টায় ৪২.৩ মিটার লম্বা পুঁতির মালা তৈরি করেছেন। এতে মোট ১৬৭১টি পুঁতি লেগেছে।
পূর্ববর্তী রেকর্ড ভেঙে নিজে ‘লংগেস্ট থ্রেড অব বিডস মেড বাই অ্যান ইন্ডিভিজুয়াল ইন ওয়ান আওয়ার’ শিরোনামে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেন আনিসা।
রেকর্ড প্রচেষ্টার দিনটি ছিল তার জন্মদিন চলতি বছরের ১২ আগস্ট। রেকর্ডের প্রায় আড়াই মাস পর ১ নভেম্বর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে চূড়ান্ত ঘোষণা আসে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে একক খেতাবধারী হিসেবে আনিসাই বর্তমানে একমাত্র বাংলাদেশি নারী।
অভাবনীয় অর্জনের ব্যাপারে আনিসা বলেন, পুঁতি শিল্পের পেছনের সৃজনশীলতা, প্রচেষ্টা ও সময় ব্যয়কে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়। বিশেষ করে আমাদের দেশে তো হস্তশিল্পের পণ্য যথাযথভাবে প্রশংসিত হয় না।
তিনি বলেন, পুঁতির কাজ শুধু কারুকাজই নয়; এটি একটি চর্চা যা সৃজনশীলতা, একাগ্রতা ও ধৈর্যের বিকাশ ঘটায়।
আনিসা বলেন, আমার এ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের কারিগররা পুঁতি শিল্প গ্রহণে উৎসাহী হবেন এবং এ থেকে উপার্জন করতে পারবেন। সর্বোপরি স্থানীয় পুঁতি শিল্পকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে আমি চেষ্টা করে যাবো।
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর