চাল কিনতে একসঙ্গে বিদেশে খাদ্যমন্ত্রী-সচিব
- Details
- by নিজস্ব প্রতিবেদক
সম্ভাব্য সংকটের কথা ভেবে সরকারি ও বেসরকারিভাবে ২০ লাখ টন চাল আমদানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে তিনটি দেশ থেকে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। চাল আমদানির আলোচনার জন্য ভিয়েতনামসহ তিন দেশ সফরে গেছেন খাদ্যমন্ত্রী ও সচিবসহ ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশভ্রমণে সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এ সফরে গেছেন তারা। আবার নিয়ম ভেঙে একসঙ্গেই বিদেশে গেছেন মন্ত্রী ও সচিব।
সরকারিভাবে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করা হচ্ছে
চাল কিনতে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, খাদ্যসচিব ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেনসহ ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড সফরে গেছেন।
প্রতিনিধি দলটি ২২ নভেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর কম্বোডিয়া সফর করেন। এরপর তারা ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ভিয়েতনাম সফর শেষে বর্তমানে থাইল্যান্ডে রয়েছেন। আগামী ১ ডিসেম্বর দেশে ফেরার কথা তাদের।
জানা গেছে, খাদ্যমন্ত্রী ও সচিবসহ কর্মকর্তাদের ভিয়েতনাম সফরের খরচ বহন করছে ওই দেশটির সরকার। বাকি দুটি দেশ সফরের খরচ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
তাদের এই বিদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। কেননা, একদিকে মন্ত্রী-সচিব একসঙ্গে বিদেশে যাওয়ার নীতি যেমন উপেক্ষা করা হয়েছে, তেমনি লঙ্ঘন করা হয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে জারি করা নিষেধাজ্ঞা।
২০১১ সালের ১৯ জুন মন্ত্রী-সচিবসহ অন্য কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর নিয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও সচিব বা ভারপ্রাপ্ত সচিবকে একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে হবে। জাতীয় স্বার্থে, বিশেষ করে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের মতো কোনো সংস্থার বার্ষিক সভা বা দাতাগোষ্ঠীর সভা হলে অত্যন্ত সীমিত ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটানো যেতে পারে।
এ ছাড়া চলতি নভেম্বরেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের গত ৯ নভেম্বর জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বৈশ্বিক সংকট ও দেশে ডলার–সংকটের কারণে নিজ নিজ সংস্থার ব্যয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত সব সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিদেশভ্রমণ বন্ধ থাকবে।
এ ব্যাপারে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের এমন পরিস্থিতিতে দেশে কৃচ্ছ্রসাধনের নীতি নেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের সব শীর্ষ কর্মকর্তার একযোগে বিদেশ যাওয়া ঠিক হয়নি। তাছাড়া এটি সরকারের ঘোষিত নিয়মনীতিরও পরিপন্থী।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সালমা মমতাজ বলেন, মন্ত্রী ও সচিবসহ কর্মকর্তাদের তিন দেশ সফরে কী অর্জিত হয়েছে কিংবা কী ধরনের আলোচনা হয়েছে, তা আমরা এখনো জানতে পারিনি। খাদ্যমন্ত্রী ও সচিব দেশে ফিরে এলে সে সম্পর্কে জানা যাবে।
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর