চোট নিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ছিটকে গেছেন ফ্রান্সের বেশ কয়েকজন ফুটবলার। তাতে বয়েই গেছে। কিলিয়ান এমবাপ্পেদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স পুষিয়ে দিচ্ছে কান্তে-পগবা-বেনজেমাদের অভাব। তাদের ছাড়াই ঝড়ের বেগে ছুটছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।
ফ্রান্সের গোলপোস্টের অতন্দ্র প্রহরী হুগো লরিস
সবশেষ রোববার রাতে পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে বিধ্বস্ত করে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। দুর্দান্ত এই জয়ের নায়ক এমবাপ্পে। জোড়া গোল করে তিনি ভেঙেছেন ব্রাজিলের মহাতারকা পেলে ও পর্তুগাল কিংবদন্তি ইউসেবিওর রেকর্ড।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোল করে অলিভার জিরার্ড গড়েছেন ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড। এই দুজনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ও রেকর্ডের রাতে অনেকটাই আড়ালে চলে গেছেন ফ্রান্স গোলরক্ষক হুগো লরিস। এদিন পোল্যান্ড ম্যাচে দুটি কীর্তি গড়েছেন তিনিও।
কাতার বিশ্বকাপ
ফ্রান্সের জার্সিতে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা লিলিয়ান থুরামকে ছুঁয়ে ফেলেন লরিস। দুজনই ফরাসিদের হয়ে ১৪২ ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আগামী শনিবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামলেই পূর্বসুরি ও কিংবদন্তি ডিফেন্ডারকে ছাড়িয়ে যাবেন গোলপোস্টের এই অতন্দ্র প্রহরী।
থুরামের আরও একটা রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন লরিস। বিশ্বকাপে ফ্রান্সের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডও ছুঁয়ে ফেলেছেন তিনি। বিশ্বমঞ্চে দুজনেরই ম্যাচ এখন সমান ১৭টি। কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের তিন কাঠির নিচে দাঁড়ালে থুরামের এই রেকর্ডটাও ভেঙে ফেলবেন লরিস।
কিংবদন্তির দুই রেকর্ড ছোঁয়ার ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন লরিস। কিন্তু সতীর্থের ভুলে শেষপর্যন্ত গোলপোস্ট আগলে রাখতে পারেননি তিনি। ম্যাচের অন্তিম প্রহরে পেনাল্টি পায় পোল্যান্ড। দলটির অধিনায়ক রবার্ট লেভানডফস্কির পেনাল্টি শট ঠেকিয়ে দেন লরিস।
এরপরই হলো নাটক। লেভা পেনাল্টি নেওয়ার আগেই লরিসের সতীর্থরা ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন। পোল্যান্ড অধিনায়ককে আবারও পেনাল্টি নিতে হয়। এবার অবশ্য ব্যর্থ হননি তিনি। দ্বিতীয় চেষ্টায় লেভাকে গোলবঞ্চিত করতে পারেননি লরিস। বিশেষ ম্যাচে এটাই তার জন্য আক্ষেপ হয়ে থাকল।