৩৭ বছর পর বাংলাদেশ থেকে সরলো বিষাক্ত ডিডিটি
- Details
- by নিজস্ব প্রতিবেদক
ডাইক্লোরো ডাইফেনাইল ট্রাইক্লোরোইথেন (ডিডিটি) হলো এক ধরনের বিষাক্ত কীটনাশক। এই বিষাক্ত কীটনাশকের বৃহত্তম মজুদ কয়েক দশক ধরে পড়ে ছিল চট্টগ্রামে। অবশেষে বাংলাদেশ থেকে এই ডিডিটি সরানো গেছে।
৩৭ বছর পর বাংলাদেশ থেকে সরানো হলো বিষাক্ত কীটনাশক ডিডিটি
২ ডিসেম্বর, শুক্রবার বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে এসব ডিডিটি ফ্রান্সে পাঠানো হয়। সেখানে বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে সেগুলো ধ্বংস করা হবে। গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটির (জিইএফ) অর্থায়নে এসব ডিডিটি অপসারণ করা হয়েছে।
এতে দেশের মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে ক্ষতিকর রোগবালাই ছড়ানোর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে দাবি করেছেন উদ্যোক্তারা। বিষাক্ত এসব কীটনাশক অপসারণে জটিল এ ব্যবস্থাপনায় নেতৃত্ব দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।
এর আগে গত বুধবার ডিডিটি অপসারণকাজের সমাপ্তি হিসেবে চট্টগ্রামের র্যাডিসন ব্লুতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ শাখা) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. আবদুল হামিদসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, ১৯৮৫ সালে ৫০০ টন ডিডিটি আমদানি ককরা হয়েছিল। মূলত ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনকারী মশা নিয়ন্ত্রণে এ কীটনাশক আনা হয়। যদিও কীটনাশকগুলো ব্যবহার না করে ডিরেক্টর জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেসের (ডিজিএইচএস) মেডিকেল সাব-ডিপোতে ফেলে রাখা হয়।
এরপর ১৯৯১ সালে ডিডিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলেও বিষাক্ত এ রাসায়নিক বাংলাদেশ থেকে সরানো যায়নি। অবশেষে ৩৭ বছর পর সরানো হলো বিষাক্ত কীটনাশক ডিডিটি।
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর