বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জয়ের পথেই ছিল পাকিস্তান। কিন্তু শেষ বিকেলে বাবর আজমদের জন্য তাস হয়ে উঠেন জেমন অ্যান্ডারসন ও ওলি রবিনসন। দিনের শেষ সেশনে এই দুইজনের বোলিং তাণ্ডবে দেখা জয় হাতছাড়া করেছে পাকিস্তান। ৭৪ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ইংলিশ বাহিনী।
জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেও হারল পাকিস্তান
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের সামনে ৩৪৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দেয় ইংল্যান্ড। জবাবে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। দলীয় ২৫ রানেই আসাদ শফিক ও বাবর আজমকে হারিয়ে বিপদে পড়ে এশিয়ান পরাশক্তিরা। সে বিপদ বাড়তে দেননি ইমাম উল হক ও সৌদ শাকিল। ৫৫ রানের নিরবচ্ছিন্ন জুটি গড়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেন এই দুইজন।
জয়ের জন্য শেষদিন পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২৬৩ রান। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৮ উইকেট। ইমাম ৪৩ ও শাকিল ২৪ রানে অপরাজিত থেকে শেষ দিনের খেলার শুরু করেন। আগের দিনের থেকে মাত্র ৫ রান যোগ করে জেমস অ্যান্ডারসনের বলে ওলি পোপের হাতে ধরা পড়েন ইমাম। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে ৮৭ রানের জুটি গড়েন শাকিল।
সিরিজে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড
৪ রানের জন্য ফিফটি বঞ্চিত হন রিজওয়ান। অপরপ্রান্তে অর্ধশতক তুলে নেন শাকিল। পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে প্যাভিলিয়নে হাঁটার আগে খেলেন ৭৬ রানের ইনিংস। আগের দিন আঙুলের আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়া আজহার আলি এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ কিছু করার ইঙ্গিত দেন। ষষ্ঠ উইকেটে আঘা সালমানকে নিয়ে ৭১ রান যোগ করেন তিনি। সালমান ব্যক্তিগত ৩০ রানে ওলি রবিনসনের শিকার হলে ভাঙে এই জুটি।
সঙ্গী হারিয়ে টিকতে পারেননি আজহার। ৪০ রানে থামে তার ইনিংস। তার বিদায়ের পর কোনো প্রতিরোধ গড়তে পানেনি পারের সারির ব্যাটসম্যানরা। ২৬৮ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের হয়ে চারটি করে উইকেট নেন অ্যান্ডারসন ও রবিনসন।