প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন নেইমার জুনিয়র। কিন্তু সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারেননি তিনি। চোট নিয়ে উঠে যান মাঠ থেকে। পায়ের ইনজুরি তাকে গ্রুপপর্বের দুই ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। দুশ্চিন্তা বাড়ে ব্রাজিলের। তাকে ছাড়াই কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর টিকিট কাটে সেলেকাওরা।
নেইমার
সোমবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফিরেছেন নেইমার। পিএসজি সুপারস্টারের উপস্থিতিতে উজ্জীবিত পারফর্ম করল ব্রাজিল। নেইমার নিজে গোল করেছেন, সতীর্থ ভিনিচিয়াস জুনিয়রকে দিয়েও করিয়েছেন। তাতেই বিধ্বস্ত দক্ষিণ কোরিয়া। এশিয়ান জায়ান্টদের ৪-১ গোলে গুঁড়িয়ে সেলেকাওরা উঠল কোয়ার্টার ফাইনালে।
ব্রাজিলের দাপুটে এই জয়ের মধ্যমণি নেইমার। ফেরার ম্যাচে ১৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে একটি গোলও করেন ৩০ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। তাতেই ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা ও তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী পেলের রেকর্ডের আরও কাছে চলে এলেন তিনি। দুজনের মধ্যে এখন গোলের ব্যবধান স্রেফ একটি।
ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা
আগামী শুক্রবার শেষ আটের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার জালের নাগাল পেলেই পূর্বসুরিকে ছাড়িয়ে যাবেন নেইমার। যার রেকর্ড ছোঁয়া নিয়ে এত কথা সেই পেলে এখন জীবনের সায়াহ্নে আছেন। অসুস্থতা ও সুস্থতা নিয়ে চলছে ফুটবল সম্রাটের জীবন। তার সুস্থতা কামনা করে মাচ শেষে ‘পেলে’ লেখা বিলবোর্ড প্রদর্শনী করেন নেইমাররা।
এমন দৃশ্য দেখে নিশ্চয়ই ভালো লাগছে ফুটবলের মহাতারকার। এরমধ্যে তো তার মৃত্যুর গুঞ্জনও ছড়িয়েছিল। যদিও গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন পেলে নিজেই। সোশ্যাল মিডিয়াতে পেলে জানান, তিনি সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। উত্তরসূরিদের হাতে ‘হেক্সা’ (ষষ্ঠ শিরোপা) স্বপ্নপূরণের দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় আছেন তিনি।
১৯৫৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের হয়ে ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোল করেছেন পেলে। এ সময়ে দেশের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ জেতেন তিনি। বিপরীতে গতকাল সেলেকাওদের জার্সিতে ১২৩তম ম্যাচে ৭৬তম গোলের দেখা পেয়েছেন নেইমার। তালিকার তিনে থাকা রোনালদো নাজারিও ৯৮ ম্যাচে ৭২টি গোল করে নির্বাসনে গেছেন।