পরিসংখ্যানে ইংল্যান্ড-ফ্রান্স মহারণ

কাগজে-কলমে এবং পারফরম্যান্সের নিরিখে কাতার বিশ্বকাপের সম্ভাব্য সেরা ম্যাচটা বোধহয় কোয়ার্টার ফাইনালেই হতে চলেছে। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে আক্রমণাত্মক দুই দল ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স। লড়াইয়ের মঞ্চ আল খোরের আল বাইত স্টেডিয়াম।

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স

বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত একটায় মুখোমুখি হবে টুর্নামেন্টের সাবেক ও বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। বল মাঠে গড়ানোর আগে দেখে নেওয়া যাক কী বলছে মহারণের পরিসংখ্যান:

* বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের দেখা হয়েছে দুবার। দুবারই জিতেছে ইংলিশরা। সবশেষ ৪০ বছর আগে বিশ্বমঞ্চে দেখা হয়েছিল তাদের। প্রথমবার ১৯৬৬ সালে ফরাসিদের ২-০ গোলে হারায় থ্রি লায়নরা। এরপর ১৯৮২ বিশ্বকাপে তারা জেতে ৩-১ গোলে।

* সব প্রতিযোগিতা সবমিলিয়ে এটা হতে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান জায়ান্টদের ৩২তম লড়াই। এর আগে মুখোমুখি লড়াইয়ে ১৭টি ম্যাচ জিতেছে থ্রি লায়নরা। ফরাসিদের জয় ৯টি। বাকি পাঁচটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। তবে এই শতাব্দীতে ইংল্যান্ডের জয় মোটে দুটি।

* কাতার বিশ্বকাপে চার ম্যাচে ১২ গোল করেছে ইংল্যান্ড। যা যৌথভাবে শুরুর চার ম্যাচে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। গত বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর রাউন্ড পর্যন্ত ১২ গোল করেছিল ইংল্যান্ড। বিপরীতে এবারের আসরে ৯ গোল করেছে ফ্রান্স।

* বিশ্বকাপে কিলিয়ান এমবাপ্পের গোল ৯টি। তন্মধ্যে এই আসরে চার ম্যাচে পাঁচ গোল তার। গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বিরা দুই গোলে পিছিয়ে আছে।

* মৌলিক টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন হ্যারি কেন। গত আসরের গোল্ডেন বুটজয়ীর গোল ১১টি। শেষ ষোলোর ম্যাচে ক্যামেরুনের জালে বল জড়িয়ে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন পূর্বসুরি ও কিংবদন্তি গ্যারি লিনেকারকে।

* ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা ওয়েন রুনি। ৫৩ গোল করে নির্বাসনে ইংলিশদের সাবেক অধিনায়ক ও স্ট্রাইকার। আর এক গোল করলে তাকে ছুঁয়ে ফেলবেন থ্রি লায়নদের বর্তমান দলপতি হ্যারি কেন।

* ২০০৬ সালের পর এবারই প্রথম ডিফেন্ডিং কোনো চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে নক আউট পর্বে উঠেছে ফ্রান্স। তৃতীয় দল হিসেবে তাদের সামনে শিরোপা ধরে রাখার সুযোগ আছে। এর আগে দুবার শ্রেষ্ঠত্ব অটুট রেখেছে ব্রাজিল ও ইতালি।