অভিবাসীদের নাগরিকত্ব প্রক্রিয়া সহজ করবে জার্মানি

জার্মানির জনসংখ্যা আগামী দশকগুলোতে বাড়বে বলে মনে করেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ। কারণ পেনশন ব্যবস্থার সংকট মোকাবেলায় অভিবাসন বাড়ানোর চেষ্টা করছে তার সরকার। আমরা অভিবাসীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করতে চাই। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ চলছে। পটসডামে গতকাল শনিবার নাগরিক ফোরামের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান। সোফিয়া নিউজ এজেন্সি।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ

স্কোলজের প্রত্যাশা, ২০৭০ সালের মধ্যে জার্মানির জনসংখ্যা ৯০ মিলিয়নে পৌঁছে যেতে পারে। সরকার বয়স্ক জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে বিদেশি কর্মীদের আকৃষ্ট করতে চায়। জনসংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে তার সরকার। এতদিন অভিবাসীরা অতিষ্ঠ হয়ে জার্মান ত্যাগের চিন্তা-ভাবনা করছিলেন। আমরা তা হতে দেব না। অভিবাসন নীতি আন্তর্জাতিক মানের করতে চাই।

খবরে বলা হচ্ছে, গত মাসে জার্মান সরকার ইইউ বহির্ভুত শ্রমিকদের জন্য জার্মান শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার জন্য অভিবাসন আইন সংস্কার করতে সম্মত হয়েছে। তারা অভিবাসন বাড়াতে চায়। কারণ দক্ষ কর্মীর ঘাটতি জার্মান অর্থনীতিকে দুর্বল করে দিচ্ছে এবং বয়স্ক ভাতা ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।

স্কোলজ বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির বর্তমান হারের জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। অভিবাসন বৃদ্ধির কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। তার মেয়াদ পর্যন্ত অর্থাৎ ২০২৫ সাল পর্যন্ত যাতে পেনশন ভাতা নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা না করতে হয় সে ব্যবস্থা সরকার করবে।

দেশটির পরিসংখ্যান অফিস গত সপ্তাহে জানায়, ২০২২ সালে জার্মান জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ বেড়েছে। ইউক্রেনের অভিবাসীরাসহ জার্মান জনসংখ্যা ৮ কোটি ৪০ লাখে পৌঁছে গেছে। অভিবাসনের মাত্রা বেশি হলে আগামী কয়েক দশকে জার্মানির জনসংখ্যা বেড়ে ৯ কোটিতে দাঁড়াবে।

অফিসিয়াল ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশন রিসার্চ অনুসারে, জার্মান কোম্পানিগুলো দক্ষ শ্রমিকের অভাবে ভুগছে। কারণ অবসর নেবে এমন কর্মীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। ২০৩১ সালের মধ্যে অফিসিয়াল অবসরের বয়স ধীরে ধীরে ৬৫-৬৭ করা হবে। স্কোলজ তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চান।