টুইটার কিনে নেওয়ার শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি ঘিরে তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ইলন মাস্ক। শেষপর্যন্ত ভোটাভুটির আশ্রয়ে গেলেন তিনি। টুইটার প্রধান হিসেবে বহাল থাকবেন নাকি সরে যাবেন- এ নিয়ে টুইটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে জরিপ চালাচ্ছেন মাস্ক। খবর বিবিসি।

twitter elon muskটুইটারের মালিক ইলন মাস্ক

আজ সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোট ৫টা ২০ মিনিটে টুইটার ব্যবহারকারীদের মতামত জানতে টুইট করেন ইলন মাস্ক।

 টুইটে মাস্ক জানতে চেয়েছেন, ‘টুইটারপ্রধানের পদ থেকে কি আমার পদত্যাগ করা উচিত? জনমত জরিপে যাই ফল আসুক, আমি মেনে নেব।’

মাস্কের টুইটের পর জরিপে ভোটের মেয়াদ আরও দুই ঘণ্টা বাকি থাকতেই দেখা গেছে, ভোটাভুটিতে এ পর্যন্ত অংশ নিয়েছেন১ কোটি ৫৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭৮ জন।

ফলাফলের জায়গায় দেখা গেছে, টুইটারপ্রধানের পদে থাকার পক্ষে ভোট পড়েছে ৪২.৭ শতাংশ এবং বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ৫৭.৩ শতাংশ।

অর্থাৎ ইলন মাস্ককে টুইটারের প্রধান নির্বাহীর (সিইও) পদ থেকে সরে যাওয়ার পক্ষেই জনমত বেশি।

চলতি বছরের অক্টোবরে ৪৪ বিলিয়ন ডলার দিয়ে টুইটার কিনে নেন ওই সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। আগের সিইওকে সরিয়ে দিয়ে নিজেই নেন দায়িত্ব তিনি। এরপর থেকেই একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন মাস্ক।

মালিকানা হাতে নিয়েই টুইটারের বেশ কিছু কর্মীকে বরখাস্ত করেছেন তিনি। নিয়েছেন একের পর এক একতরফা সিদ্ধান্ত।

সম্প্রতি ছয় খ্যাতনামা সাংবাদিকের টুইটার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছিলেন মাস্ক। সিএনএন, নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিকসহ ওই অ্যাকাউন্টধারীদের বিরুদ্ধে তার পরিবারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলার অভিযোগ আনেন মাস্ক।

টুইটার থেকে তাদের বাদ দেওয়ার পর এ নিয়ে তুমুল সমালোচনার মধ্যে পড়েন তিনি। কড়া সমালোচনা করে জাতিসংঘ ও ইইউ। অবশ্য জনমত জরিপের মাধ্যমে ওই টুইটার অ্যাকাউন্টগুলো পুনর্বহাল করে দেন মাস্ক।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.