সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসি, এতে সন্দেহ নেই। তবে একইসঙ্গে তিনি যে এই গ্রহের সবচেয়ে বেশি উপাজর্নকারী ক্রীড়াবিদ, এ তথ্য হয়তো সবার জানা নেই। মাঠে, মাঠের বাইরে অনলাইনে-অফলাইনে অর্থাগমের বেশকিছু উৎস আছে মেসির। আয়ের ক্ষেত্রে যেমন, ব্যয়ের হাতটাও লম্বা এই ফুটবল তারকার। চলুন দেখে নেওয়া যাক মেসি কিভাবে কত আয় ও ব্যয় করেন।

messi family kidsআয়ের ক্ষেত্রে যেমন, ব্যয়ের হাতও তেমনি লম্বা লিওনেল মেসির

টানা সাতবার ব্যালন ডি’অর, ১০ বার বার্সেলোনার হয়ে লা লীগা, চারবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ছাড়াও মেসি জিতেছেন দেশের হয়ে যুব চ্যাম্পিয়নশীপ, কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপ। বার্সেলোনার ইতিহাসে ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ও সর্বোচ্চ সংখ্যক গোল স্কোরার মেসি গত মৌসুমে হঠাৎ করে প্যারিসের ক্লাব পিএসজিতে ঠিকানা গড়তে বাধ্য হন।

ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য বলছে, গত বছরের মে মাস থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত ১৩ কোটি ডলার আয় করেছেন মেসি। ২০২১ সালে তিনি মাঠে খেলে আয় করেছেন সাড়ে সাত কোটি ডলার, যা বিশ্বের যে কোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি। পিএসজিতে মেসির বার্ষিক বেতন সাড়ে তিন কোটি ডলার। যার অর্থ হলো, কেবল ক্লাব থেকে প্রতি সপ্তাহে সাত কোটি ৩৮ লাখ ডলার, প্রতিদিন এক লাখ ৫ হাজার ডলার ও প্রতি ঘণ্টায় আট হাজার ৭৯০ ডলার আয় করেন মেসি।

লন্ডন ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড বলছে, গত বছর পিএসজিতে যোগদানের সময় মেসি জয়েনিং ফি বাবদ পেয়েছেন ২৫ মিলিয়ন বা আড়াই কোটি ডলার। এছাড়া তার বেতন ধরা হয়েছে বার্ষিক ৪১ মিলিয়ন বা ৪ কোটি ১০ লাখ ডলার। এ হিসাবে ধরতে গেলে প্রতি মাসে, দিনে ও ঘণ্টায় তার বেতন বাবদ আয়ের অঙ্ক আরও বেড়ে যাবে।

মাঠের বাইরেও বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করেন ৩৫-বছর বয়সী এ ফুটবলার। ইনসাইডার ম্যাগাজিন জানিয়েছে, গত বছর মাঠের বাইরে থেকে মেসি আয় করেছেন সাড় পাঁচ কোটি ডলার। কেবলমাত্র টেনিস তারকা রজার ফেদেরার ও মার্কিন বাস্কেটবল তারকা লিব্রন জেমস মাঠের বাইরে মেসির চেয়ে বেশি আয় করেছেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ফ্যান টোকেন প্ল্যাটফর্ম সোসিওসের সঙ্গে স্পন্সরশিপ চুক্তি বাবদ মেসি প্রতি বছর পান দুই কোটি ডলার। এর চেয়ে বেশি অর্থ তিনি আয় করেন ফ্যাশন ব্র্যান্ড অ্যাডিডাস, পানীয় কোম্পানি বাডওয়েইজার ও পেপসিকো, পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম মাস্টারকার্ড ও আকাশসেবা সংস্থা টার্কিশ এয়ারলাইন্সের স্পন্সরশিপ চুক্তি থেকে।

গত বছর থেকে হার্ড রক ইন্টারন্যাশনাল ক্যাফের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ওই চেইন থেকেও আয়ের চাকা ঘুরছে মেসির। প্রো ইভল্যুশন সকার ও ফিফা ভিডিও গেম থেকেও প্রতি মুহূর্তে অর্থ আয় হচ্ছে মেসির। ইনস্টাগ্রামে ৪০ কোটির বেশি ফলোয়ার মেসির। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটিতে কোনো ব্যান্ডকে প্রমোট করার জন্য তিনি ফি নেন ১৭ লাখ ডলার।

ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী, এ মুহূর্তে মেসির সম্পদের পরিমাণ কমপক্ষে ৬০ কোটি ডলার। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে তিনি আয় করেছেন ১১৫ কোটি ডলার। এত অঢেল আয় যার, তার ব্যয় নিয়েও কৌতুহল জাগতে পারে।

মেসির ব্যক্তিগত অর্থ ব্যয়ের এক বড় অংশ যায় গাড়ির পেছনে। পাগানি জোন্ডা ট্রাইকালার, ডজ চার্জার, ফেরারি স্পাইডার, মাসেরাতি গ্রান টুরিজমোর মতো সিগনেচার কালেকশনের পাশাপাশি মেসির রয়েছে কয়েকটি করে অডি ও রেঞ্জ রোভার। অডি আরএস৬, অডি এ৭, অডিকিউ৭, ক্যাডিলাক এসকেলেড, মার্সিডিজ এসএলএস- সব রয়েছে মেসির গ্যারাজে। এখানে-সেখানে যাতায়াতের জন্য রয়েছে গালফস্ট্রিম প্রাইভেট জেট।

বার্সেলোনার অভিজাত নো-ফ্লাই-এরিয়া কাস্তেলদেফেলেসে ৭০ লাখ ডলারের ম্যানশন ছাড়াও মেসির রয়েছে একটি ইকো-হাউস, আর্জেন্টিনার রোজারিওতে বিলাসবহুল বাড়ি, ফ্লোরিডার লাক্সারি কন্ডোমিনিয়াম সেইন্ট আইলস বিচের পুরো একটি ফ্লোর। এমআইআমে হোটেল চেইনের মালিক মেসি। স্পেনের ইবিজা, মায়োরকা, বার্সেলোনা ও পিরেনিজে কয়েকটি চার-তারকা হোটেল রয়েছে তার।

প্রতি বছর মেসির আয়ের একটি বড় অংশ যায় বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে। ২০০৭ সালে গঠিত হয় লিওনেল মেসি ফাউন্ডেশন। ইউনিসেফের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিশ্বের বহু দেশে শিশুদের কল্যাণে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে নানা কল্যাণমূলক কাজেও অর্থ দান করেন ফুটবলের এ মহাতারকা।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.