বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তিকে হারাল ইংল্যান্ড

না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি ফুটবলার জর্জ কোহেন। আজ শুক্রবার ৮৩ বছর বয়সে মারা গেছেন তিনি। কিংবদন্তি এই ডিফেন্ডারের মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে ইংল্যান্ড ফুটবল অঙ্গনে। যা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা ফুটবল দুনিয়ায়। শোক প্রকাশ করেছে ইংল্যান্ড ও ফিফা।

ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি ফুটবলার জর্জ কোহেন

১৯৬৬ বিশ্বকাপে জিওফ হার্স্টের হ্যাটট্রিকের ওপর দাঁড়িয়ে ফাইনালে পশ্চিম জার্মানিকে ৪-২ গোলে হারায় ইংল্যান্ড। ওই ম্যাচে থ্রি লায়নদের দলে ছিলেন কোহেন। কেবল ফাইনাল নয়, আসরে ইংলিশদের সবকটি ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। কোহেন ছিলেন সেই স্বপ্নযাত্রার সহ-অধিনায়ক।

কোহেনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সতীর্থ হার্স্ট টুইটারে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধু এবং সতীর্থের মৃত্যুতে খারাপ লাগছে। ব্যতিক্রম দু-একজন ছাড়া সবাই বলতেন কোহেন অসাধারণ মানুষ ছিলেন। তাকে সবসময় মিস করব। তার স্ত্রী ও পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’

ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ২৯ বছর বয়সে বুট জোড়া তুলে রেখেছিলেন কোহেন। ইংল্যান্ডের জার্সিতে ১৯৬৪ সালে অভিষেক হয় তার। থ্রি লায়নদের হয়ে ৩৭টি ম্যাচ খেলে ১৯৬৭ সালে অবসর নেন এই ডিফেন্ডার। ক্লাব ফুটবলে দেড় দশকের পুরোটা সময় ফুলহামের হয়ে কাটিয়েছেন কোহেন।

ক্লাবটির ইতিহাসের অন্যতম সেরা কিংবদন্তি ছিলেন কোহেন। তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ইংলিশ ক্লাবটি বলেছে, ‘জর্জ কোহেন আমাদের ক্লাবের সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। তার মৃত্যুর সংবাদটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখের। তার স্ত্রী ড্যাফোনি ও পুত্র সন্তানদের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল। কোহেনের রেখে যাওয়া ভক্ত, সমর্থক ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে ফুলহাম।’

কোহেনের মৃত্যুর খবর সোনার পর ইংল্যন্ডের আরেক কিংবদন্তি ফুটবলার গ্যারি লিনেকার টুইটারে লিখেছেন, ‘জর্জ কোহেন মারা গেছে শোনার পর থেকেই খারাপ লাগছে। ৬৬ বিশ্বকাপজয়ী আরেক নায়ক আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তিনি আজীবন ফুটবলে অমর হয়ে থাকবেন। ওপারে ভালো থাকবেন জর্জ।’