তথ্য প্রমাণ নিয়ে হাজির ফাইনালের রেফারি!

কাতার বিশ্বকাপের পর্দা নামলেও এখনও সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হতে হচ্ছে সাইমন মার্চিনিয়াককে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের দায়িত্বে থাকা এই রেফারির একাধিক সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না পরাজিত দলের সমর্থকরা। এজন্য গত কয়েক দিন ধরেই এই পোলিশ রেফারির মুন্ডুপাত করছিলেন ফরাসিরা। তবে এবার আর চুপ করে থাকতে পারলেন না মার্চিনিয়াক। সমালোচনার জবাবে তথ্য প্রমাণ নিয়ে হাজির হয়েছেন তিনি।

ফাইনালের দায়িত্বরত রেফারি

ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে পরাজিত করে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। লুসাইল স্টেডিয়ামে অুনষ্ঠিত ম্যাচটির নির্ধারিত সময়ে দুই দল ২-২ সমতায় ছিল। অতিরিক্ত সময়েও দুই দল একবার করে লক্ষ্যভেদ করে। অনুমিতভাবেই টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে বাজিমাত করেছে লিওনেল স্ক্যালোনির শিষ্যরা। ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবারের মতো সোনালী ট্রফির ছোঁয়া পায় দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম সেরা দলটি।

ম্যাচের ২৩ মিনিটে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া প্রতিপক্ষ ডি বক্সে ফাউলের শিকার হলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন মেসি। এরপর অতিরিক্ত সময়েও পিএসজি তারকার কল্যাণে লিড নেয় আর্জেন্টিনা। এই দুটি গোল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ফরাসিরা।

পরাজিত দলের সমর্থকদের দাবি, ডি মারিয়াকে ফাউল করা হয়নি। নিজে নিজেই মাটিতে পড়ে যান জুভেন্টাসের এই উইঙ্গার। এমনকি মেসির অতিরিক্ত সময়ে করা গোলের সময় আর্জেন্টিনার অতিরিক্ত দুজন ফুটবলার মাঠে নেমে আসে। মূলত মেসির করা গোলের আগে শটটি নিয়েছিলেন লাউতারো মার্টিনেজ। দারুণ এক ট্যাকলে বল ফিরিয়ে দেন ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিস। এমন সময় উত্তেজনাবশত মাঠে চলে আসেন ওই দুই ফুটবলার। এরপর মেসি গোল করার আগে আর বাইরে যেতে পারেননি।

যদিও কোনো যুক্তিতে না গিয়ে আর্জেন্টিনার ওই গোল দুটি বাতিলের দাবি জানান ফরাসিরা। এমনকি বিষয়টি নিয়ে অনলাইন পিটিশনও খোলা হয়েছে। এবার সেসব সমর্থকদের দাঁতভাঙা জবাব দিলেন মার্চিনিয়াক। তথ্য প্রমাণ হাতে নিয়ে মার্চিনিয়াক জানালেন, দ্বিতীয় গোল করে এমবাপ্পে যখন দলকে ম্যাচে ফেরান তখন ফ্রান্সের অতিরিক্ত সাতজন ফুটবলার মাঠে ছিল।

সংবাদমাধ্যমে ফাইনাল ম্যাচের রেফারি বলেন, ‘ফ্রান্সের সমর্থকরা (ফোন থেকে একটি ছবি বের করে দেখান) এই ছবির কথা একবারও বলছে না। যেখানে দেখা যাচ্ছে এমবাপ্পের গোলের সময় অতিরিক্ত সাতজন মাঠের মধ্যে ছিল।’