কে জিতবেন ব্যালন ডি’অর? জানালেন লেভা

ক্লাব এবং জাতীয় দলের হয়ে বছরজুড়ে বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে ব্যালন ডি’অর দিয়ে থাকে ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন। এই বিচারে নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি দলের সফলতার বিষয়েও লক্ষ্য রাখা হয়। যদিও বিশ্বকাপের বছর হিসেবটা আলাদা হয়ে থাকে।

বিশ্বকাপে দুই তারকার সেই মুহূর্ত

কারণ তখন ক্লাবের পারফরম্যান্স থেকেও বিশ্বকাপকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই যেমন সদ্য শেষ হওয়া কাতার বিশ্বকাপের কথাই ধরা যাক। ফাইনালে শক্তিশালী ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে পরাজিত করে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছে আর্জেন্টিনা। যেখানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ায় আসন্ন ব্যালন ডি’অর জয়ী হিসেবে লিওনেল মেসিকে এগিয়ে রাখছেন বিশ্লেষকরা।

সৌদি আরবের কাছে হেরে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে আর্জেন্টিনা। তাতে অনুমিতভাবেই লা আলবিসেলেস্তেদের মনোবলে বড় ধরনের চিড় ধরেছিল। যদিও মেসির দৃঢ়তায় দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ল্যাটিন আমেরিকার পরাশক্তিরা। বাকি ছয় ম্যাচে টানা জয় তুলে নিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জয়গান গেয়ে দেশে ফিরেছে লিওনেল স্ক্যালোনির শিষ্যরা।

টুর্নামেন্টজুড়ে সাত ম্যাচ খেলে সমান গোল করেন মেসি। এছাড়া অ্যাসিস্ট করেছেন আরও তিনটি। জিতেছেন বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বল’। তাই বাকিদের মতো রবার্তো লেভানডফস্কিও বিশ্বাস করেন আরও একবার ব্যালন ডি’অর উঠবে পিএসজি ফরোয়ার্ডের হাতে।

সম্প্রতি এক স্প্যানিশ প্রচারমাধ্যমকে বার্সেলোনা স্ট্রাইকার বলেন, ‘বিশ্বকাপ নির্ধারণ করতে যাচ্ছে এই মৌসুমে ব্যালন ডি’অর কে জিতবে। এই তালিকায় নিশ্চিতভাবেই মেসি সবার ওপরে থাকবে। কারণ সে এমন কিছু অর্জন করেছে যেটা অনন্য। এখন সে এটা উপভোগ করতে পারে।’

বিশ্বকাপে দুজনের মধ্যে হওয়া ট্যাকল নিয়েও কথা বলেছেন লেভা, ‘বিশ্বকাপ জিতে মেসি তার দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ করেছে। আমি জানি কি ভয়ানক চাপের মধ্য দিয়ে সে এতো বছর খেলে আসছিল। ওই ঘটনা (বিশ্বকাপের ট্যাকল) নিয়ে তার সাথে আমার অনেক কথাই হয়েছে। তবে এখন সব বলতে চাচ্ছি না। তবে সেটা যে ইতিবাচক ছিল তা বিশ্বাস করতে পারেন।’