পাঠ্যপুস্তক উৎসব উদ্বোধন, প্রথম দিনে বই পায়নি সব শিক্ষার্থী

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বেলুন উড়িয়ে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব ২০২৩ উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। উৎসবের অংশ হিসেবে সকাল থেকে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন বছরের পাঠ্য বইয়ের জন্য উপস্থিত হয়েছেন সারাদেশের কয়েক কোটি স্কুল শিক্ষার্থী। তবে বছরের প্রথম দিনে বই পাননি এদের সবাই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যে বই বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন

জানা গেছে, মুদ্রণ কাজ শেষ না হওয়ায় বছরের প্রথম দিনে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বছরের পাঠ্যবই তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আগামী ১৫ জানুয়ারি নাগাদ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা সব বই পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর নাগাদ প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ৬৮ শতাংশ পাঠ্যপুস্তক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ৮০ শতাংশ পাঠ্যপুস্তক সারাদেশের উপজেলাগুলোতে বিতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। কাগজ সংকট, দরপত্র আহ্বান ও কার্যাদেশ প্রদানে বিলম্বের কারণে যথাসময়ে সব বই ছাপানো সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সারাদেশে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব চলছে।

এনসিটিবি জানিয়েছে, চলতি বছর প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাধ্যমিক কারিগরি, এবতেদায়ী, দাখিল ভোকেশনাল, নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী চার কোটির বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে মোট প্রায় ৩৪ কোটি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে প্রায় ২৩ কোটি ৭০ লাখ পাঠ্যপুস্তক মাধ্যমিক পর্যায়ের। ৯ কোটি ৬০ লাখ পাঠ্যপুস্তক প্রাথমিক পর্যায়ের।

বছরের প্রথম দিনে সব শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিতে না পারার জন্য কর্মকর্তারা কাগজ সংকটকে দায়ী করলেও পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে নিয়োজিত প্রেস মালিকদের সংগঠনের নেতারা এজন্য আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্র ও কাঁচামালের অভাবকে দায়ী করছেন।

টেক্সটবুক প্রিন্টার্স অ্যান্ড মার্কেটস এসোসিয়েশনের নেতারা বলছেন, এবার এনসিটিবির তরফ থেকেই অন্যান্য বছরের তুলনায় দেরিতে বই ছাপার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে বই ছাপার কাগজ, প্লেট, কালি ও বই বাঁধাইয়ে প্রয়োজনীয় আঠার সংকটও ছিল। কাগজ কল মালিকরা কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খুলতে না পারায় সংকট বেড়েছে বলে তারা জানান।