ম্যাচ হেরে রেফারিকে দুষছেন লিভারপুল কোচ

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা চার ম্যাচ পর জয়ররথ থেমেছে লিভারপুলের। গত রাতে অপেক্ষাকৃত কম শক্তির দল ব্রেন্টফোর্ডের কাছে ৩-১ ব্যবধানে হেরেছে অল রেডরা। দলের এমন পরাজয়ের জন্য দায়িত্বরত রেফারিকে দুষছেন ইংলিশ জায়ান্টদের প্রধান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ।

রেফারির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন লিভারপুল বস

ব্রেন্টফোর্ডের কাছে হেরে সেরা চারে ওঠার রাস্তা আরও কঠিন করে তুলল লিভারপুল। ১৭ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয় নম্বরে অবস্থান করছে ক্লপের শিষ্যরা। অন্যদিকে গত আসরের রানার্সআপদের হারিয়ে সাতে উঠে এসেছে ব্রেন্টফোর্ড। ১৮ ম্যাচে পশ্চিম লন্ডনের দলটির সংগ্রহ ২৬ পয়েন্ট।

প্রতিপক্ষের মাঠে এদিন বিবর্ণ ছিল লিভারপুল। টানা পঞ্চম জয়ের মিশনে নিজেদের হারিয়ে খুঁজতে ব্যস্ত ছিলেন সফরকারী দলের খেলোয়াড়রা। বিপরীতে হোম ভেন্যুর সুবিধা কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষ শিবিরে ভীতি ছড়িয়েছে ব্রেন্টফোর্ড। অবশ্য প্রথমবার সৌভাগ্যক্রমে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ম্যাচের ১৯ মিনিটে নিজেদের জালে বল জড়ান ইব্রাহিমা কোনাটে।

বিরতিতে যাওয়ার তিন মিনিট আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইয়োয়ান উইসা। দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে লিভারপুলের হয়ে ব্যবধান কমান অ্যালেক্স অক্সলেড চেম্বারলেইন। এরপর ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি অতিথিরা। উল্টো নির্ধারিত সময়ের ছয় মিনিট আগে ব্রায়ান এমবিউমো নিশানা ভেদ করলে জয় নিশ্চিত হয় ব্রেন্টফোর্ডের।

এই গোল নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ক্লপ। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, মাঝমাঠ থেকে এমবিউমোকে উদ্দেশ্য করে বাড়ানো বলকে আগে নিয়ন্ত্রণে নেন কোনাটে। হেড করে বলকে একটু সামনে নেন তিনি। কিন্তু পেছনে থেকে ফরাসি সেন্টার ব্যাককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এমবিউমো। এরপর বল পেয়ে জালে জড়ান তিনি। এই গোলের আগে ফাউলের বাঁশি না বাজানোয় হাতাশা প্রকাশ করেছেন ক্লপ।

ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ড দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে ওদের করা শেষ গোলটা আমি মেনে নিতে পারছি না। আমি বলছি না যে আমাদের পক্ষে বাঁশি বাজাতে হবে। কিন্তু ফাউল তো ধরতেই হবে। কাউকে আটকে রাখলে কিংবা ধাক্কা দিলে সেটা অবশ্যই ফাউল হিসেবে বিবেচিত হবে। তারা এটা করতে পারে না।’