বিপিএল: রনির তাণ্ডব, হারে শুরু চ্যাম্পিয়নদের

শুরুতেই ঝড় উঠল ওপেনার রনি তালুকদারের ব্যাটে। করলেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। তবু প্রত্যাশিত রানের পাহাড় গড়তে পারেনি রংপুর রাইডার্স। তবে শক্তিশালী সংগ্রহ ঠিকই পেয়েছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। যা দুর্দান্তভাবেই আগলে রাখলেন বোলাররা।

হার দিয়ে শিরোপা ধরে রাখার শুরু করল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৩৪ রানে হারিয়ে মিশন শুরু হলো রংপুরের। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাঁচ উইকেটে ১৭৬ রানের সংগ্রহ তোলে নুরুল হাসান সোহানের দল। জবাব দিতে নেমে ২০তম ওভারের প্রথম বলে ১৪২ রানে গুটিয়ে যায় কুমিল্লা।

ব্যাট হাতে শুরুতেই রূদ্রমূর্তি ধারণ করেন রনি। ১৯ বলে করেছেন ফিফটি। বিপিএলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এটাই দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। তবে সার্বজনিন রেকর্ডটা সুনিল নারাইনের। গত আসরে ১৩ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। আন্তর্জাতিক ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অবশ্য ১২ বলে ফিফটির রেকর্ড আছে।

বিপিএলে বাংলাদেশিদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড রনি তালুকদারের

ফিফটির পর কিছুটা কমে আসে রনি ও রংপুরের রানের গতি। দ্রুত রান তুলতে গিয়েই শেষ পর্যন্ত আউট হন রংপুর ওপেনার। ৩১ বলে ৬৭ রানে বিদায় নেন তিনি। রনি ইনিংস সাজান ১১টি চার ও এক ছক্কায়। নবম ওভারে ভাঙে ৮৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। জুটির মূল চালক রনি। কিন্তু তিনি যতটা বিধ্বংসী ছিলেন ততটাই শান্ত ছিলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ।

৩৪ বলে ২৯ রান করেন নাঈম। তিনে নামা পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক ২৬ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে রান আউটের ফাঁদে পড়েন। তার সঙ্গী নুরুল অবশ্য শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন। ১১ বলে ১৯ রানে অজেয় থাকেন রংপুর দলপতি। দুজনই ইনিংস সাজিয়েছেন একটি করে চার-ছক্কায়। এ ছাড়া ১০ বলে ১২ রান এসেছে সিকান্দার রাজার ব্যাট থেকে।

রান তাড়ায় কুমিল্লার কয়েকজন ব্যাটসম্যানই আউট হয়েছেন উইকেটে থিতু হওয়ার পর। চতুর্থ ওভারে দলীয় ২৫ রানে কুমিল্লা হারায় লিটন দাসের উইকেট। ১২ বলে ১০ রানে বিদায় নেন ফর্মে থাকা এই ওপেনার। আরেক ওপেনার সৈকত আলি ২১ বলে করেন ১৬ রান। এ ছাড়া নয় বলে ১৯ রানের ঝড় তুলেই থেমে গেছেন ডেউইড মালান।

৫৭ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ইনিংসের হাল ধরেন কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৫৮ রান। কিন্তু আস্কিং রেটের চাপে আউট হয়ে যান দুজনই। ইমরুল ২৩ বলে ৩৫ রান করেন। ২৫ বলে ১৫ রান এসেছে মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে। পরে ১৩ বলে ১৯ রানে আউট হন জাকের আলি। কুমিল্লার ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল ‘মিস্টার এক্সট্রা’র। এদিন আলগা বোলিংয়ে অতিরিক্ত ২৩ রান দিয়েছে রংপুর।

রংপুরের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল হাসান মাহমুদ নিয়েছেন তিন উইকেট। দুটি করে শিকার সিকান্দার ও রবিউল হকের। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পান বেনি হাওয়েল, রাকিবুল হাসান ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে একটি করে উইকেট পেয়েছেন ফজলহক ফারুকি, মোস্তাফিজুর রহমান, মোসাদ্দেক ও খুশদিল শাহ। তবে অবধারিতভাবেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন রনি।