সেঞ্চুরির জবাব সেঞ্চুরিতে

ঝড়ে উঠেছিল আজম খানের ব্যাটে। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। পরে শতকের জবাব শতকেই দিয়েছেন আরেক পাকিস্তানি উসমান খান। জোড়া সেঞ্চুরির রোমাঞ্চকর ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স পেল আসরের প্রথম জয়।

ম্যাচ শেষে উসমান খানের পিঠ চাপড়ে দেয় খুলনা টাইগার্স

আজ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাঁচ উইকেটে ১৭৮ রান করেছে খুলনা টাইগার্স। জবাবে নয় উইকেট ও চার বল হাতে রেখে দারুণ জয় তুলে নেয় শুভাগত হোমের চট্টগ্রাম। ১০৩ রানের অজেয় ইনিংসে ম্যাচ সেরা হয়েছেন উসমান। বিফলেই গেল খুলনার আজমের ১০৯ রানের হার না মানা ইনিংসটা।

খুলনার ইনংসের শুরুটা ছিল বাজে। দলীয় ১২ রানে তারা হারায় দুই উইকেট। এরপর তামিম ইকবালকে নিয়ে জোড়া ধাক্কা সামাল দেয় খুলনা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তামিম ইকবালকে নিয়ে যোগ করেন ৯২ রান। জুটিতে তামিম যতটা শান্ত ছিলেন ততটাই আগ্রাসী ছিলেন পাকিস্তানি ব্যাটার।

এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি আজম খানের

৩৭ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৪০ রানে আউট হন তামিম। ভাঙে জুটি। তবে সঙ্গী হারালেও সঙ্গ হারানি পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মঈন খানের পুত্র আজম। ইনিংসজুড়ে আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন তিনি। ৩৩ বলে ছুঁয়েছেন ফিফটি। পরের ফিফটি রান তিনি যোগ করেছেন ২৪ বলে। শেষ পর্যন্ত ৫৮ বলের ইনিংসটা কাজে এলো না।

স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে আজমের আগের সেরা ছিল ৮৮ রান। এবার নিজেকে ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। নয়টি চার ও আট ছক্কায় রাজসিক ইনিংসটা সাজিয়েছেন ২৪ বছর বয়সী আজম। বিপিএলের ইতিহাসে এটা ২৬তম সেঞ্চুরি। পরের ইনিংসেই বিপিএল দেখেছে ২৭তম শতক।

রান তাড়ায় উসমানের সেঞ্চুরিই গড়ে দিয়েছে ম্যাচের ব্যবধান। দশটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার সঙ্গী ম্যাক্স ও’দাউদ অবশ্য ব্যাটিং করেছেন রয়ে-সয়ে। ৫০ বলে পাঁচটি চার ও তিন ছক্কায় ৫৮ রানে আউট হন ও’দাউদ। ভাঙে উদ্বোধনী জুটিতে১৪১ রানের জুটি। শেষ দিকে ১০ বলে পাঁচ রান করেন আফিফ হোসেন।