সিলেটের রানের পাহাড়ে চাপা পড়ল ঢাকা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরে ফর্ম আর আত্মবিশ্বাসে বৃহস্পতির তুঙ্গে আছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। জয়রথ ছুটেই চলেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দলের। আজ প্রতিযোগিতায় টানা চতুর্থ ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে সুরমা পাড়ের দলটি। সিলেটের এবারের জয়টি এসেছে ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে।

বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিয়মিত পারফর্ম করছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেছে প্রথম ইনিংস শেষেই। তৌহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্তর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে আট উইকেটে ২০১ রান করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। জবাব দিতে নেমে ম্যাচের তিন বল বাকি থাকতে ১৩৯ রানে গুটিয়ে গেছে নাসির হোসেনের ঢাকা। সিলেট জিতেছে ৬২ রানের বড় ব্যবধানে।

সিলেটের ইনিংসের শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না। ১৭ রানে উদ্বোধনী জুটি বিচ্ছিন্ন হয় তাদের। ছয় বলে ছয় রান করে বিদায় নেন ওপেনার মোহাম্মদ হ্যারিস। ধাক্কা সামলে নেয় দ্বিতীয় উইকেটে ৮৮ রানের জুটিতে। বিধ্বংসী এই জুটিতে ঝড় তোলেন শান্ত এবং হৃদয় দুজনই। জুটি ভাঙে শান্তর বিদায়ে।

এবারের বিপিএলে টানা তৃতীয় ফিফটি করেছেন তৌহিদ হৃদয়

৩৯ বলে সাতটি চার ও দুই ছক্কায় ৫৭ রানে আউট হন শান্ত। টানা তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি করা হৃদয় ৪৬ বলে পাঁচটি করে চার-ছক্কায় ফেরেন ৮৪ রানে। এ ছাড়া জাকির হাসান ১০ এবং থিসারা পেরেরা ১১ রানে আউট হন। ঢাকার পক্ষে ৪৫ রানে তিন উইকেট নেন আল আমিন হোসেন। ৩৬ রানে দুটি শিকার তাসকিন আহমেদের।

বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধসে পড়ে ঢাকার টপ অর্ডার। ৩০ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান দিলশান মুনাবীরা, আহমেদ শেহজাদ ও সৌম্য সরকার। মাঝেরজন খুলতে পারেননি রানের খাতা। মুনাবীরা ১০ বলে ১২ এবং সৌম্য নয় বলে ছয় রানে আউট হন। চতুর্থ উইকেটে ৭৭ রানের জুটিতে বিপর্যয় সামলে ওঠে ঢাকা।

বিপিএলে ১০০তম ম্যাচে নিষ্প্রভ থাকলেন মুশফিকুর রহিম

কিন্তু মোহাম্মদ মিঠুন ও অধিনায়ক নাসির জুটি ভাঙতেই ফের ছন্দপতন হয় ঢাকার। ২8 বলে তিনটি চার ও দুই ছক্কায় ৪২ রানে আউট হন মিঠুন। ৩৫ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৪৪ রানে ফেরেন নাসির। সিলেটের দারুণ বোলিংয়ের তোপে ঢাকার আট ব্যাটার যেতে পারেননি দশকের ঘরে।

ঢাকার ছয় বোলারই উইকেট পেয়েছেন। দুটি করে শিকার ইমাদ ওয়াসিম, অধিনায়ক মাশরাফি ও মোহাম্মদ আমির। একটি করে উইকেট গেছে রেজাউর রহমান রাজা, থিসারা পেরেরা ও শান্তর ঝুলিতে। তবে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের সুবাদে অবধারিতভাবেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন হৃদয়।