বারবার কমান্ডার বদল: পাগলামি বলছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে বারবার কমান্ডার বদলাচ্ছে রাশিয়া। দেশটির এই সিদ্ধান্তকে উন্মাদনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার কমান্ডার বদলালেও লাভ হবে না। এতে যুদ্ধের ফলাফলে কোনো পরিবর্তন আসবে না।

লুহানস্কে রাশিয়ান সামরিক ঘাঁটির নিকটে ইউক্রনেীয় ট্যাংক

ইউক্রেনে যুদ্ধরত বাহিনীর কমান্ডার সের্গেই সুরোভিকিনকে সরিয়ে দিয়ে জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভকে নিয়োগ করেছে রাশিয়া। আনাদোলু মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছে জানতে চায়, রাশিয়ার কমান্ডার পরিবর্তনে যুদ্ধে কী প্রভাব পড়তে পারে। তার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ওই জবাব দিয়েছে।

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, আমরা মনে করি, একইরকম সিদ্ধান্ত বারবার নেওয়া এবং যুদ্ধে ফলাফলে পরিবর্তন হওয়ার আশা করা একটা পাগলামি।

ইউক্রেনের মানবাধিকারবিষয়ক ইউক্রেনের সংসদের কমিশনার দিমিত্রো লুবিনেটস বলেন, ইউক্রেনে মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠায় গত রাতে আমরা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সাথে কথা বলেছি। আমরা মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠায় সবসময় সমর্থন দিয়ে থাকি।

তিনি আঙ্কারায় ‘একবিংশ শতাব্দিতে মানবাধিকারের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠায় ইউক্রেন রাশিয়া ও তুরস্কের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, বাখমুত ও সোলেদার উভয়ই যদি রাশিয়ানদের হাতে পড়ে, তবুও যুদ্ধের ওপর কৌশলগত প্রভাব ফেলবে না।

খবরে বলা হচ্ছে, সোলেদার ঘিরে ফেলে রাশিয়া বাখমুতের ওপর আক্রমণ জোরদার করতে চায়। সোলেদারে লবণের খনি আছে, যা বাণিজ্যিকভাবে রাশিয়াকে লাভবান করতে পারে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, পূর্বাঞ্চলীয় শহর সোলেদারে ইউক্রেনের বাহিনী তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে এবং রাশিয়ান বাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করতে সামর্থ্য হয়েছে। তিনি সেখানে যুদ্ধরত দুটি ইউক্রেনীয় সেনা ইউনিটকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। এ পর্যন্ত যুদ্ধে উভয়পক্ষে শত শত সেনা নিহত হয়েছেন। পুতিন সম্প্রতি ৩৬ ঘণ্টা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন। তবে যুদ্ধবিরতি কালেও উভয়পক্ষ হামলায় জড়িত ছিলো বলে গণমাধ্যমে খবর পাওয়া গেছে।