আপনি পড়ছেন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ চায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। এ ধরণের কোর্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করে প্রতিষ্ঠানটি।

ugc stop eveningবিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ ধরণের কোর্স বন্ধ হওয়া জরুরি উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ইউজিসি'র অনুমোদন নিয়ে বিভিন্ন ডিপ্লোমা, শর্ট কোর্স, ভোকেশনাল ও ট্রেনিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করার সুপারিশ করা হয়েছে।

গেল ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা, উচ্চতর গবেষণা, উদ্ভাবন, নতুন জ্ঞান সৃজন ও উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ১৭ দফা সুপারিশ সম্বলিত ৪৮তম বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২১ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে পেশ করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ।

স্যান্ধ্যকালীন কোর্সের মতো বিভিন্ন কোর্স নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের কোনো কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সান্ধ্যকালীন, উইকেন্ড, এক্সিকিউটিভ প্রভৃতি নামে প্রোগ্রাম/কোর্স পরিচালিত হচ্ছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ ধরনের প্রোগ্রাম/কোর্স পরিচালনা করা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য, ভাবমূর্তি এবং নিয়মিত শিক্ষার্থী স্বার্থের পরিপন্থী বিধায় উল্লেখিত সব প্রোগ্রাম/কোর্স বন্ধ হওয়া জরুরি।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী ইউজিসির অনুমোদন নিয়ে দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে ডিপ্লোমা, শর্ট কোর্স, ভোকেশনাল ও ট্রেনিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করা যেতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন বা এক্সিকিউটিভ কোর্স পরিচালিত হওয়ায় সেখানে স্বল্প সময়ে বেশি অর্থ দিয়ে সনদ নেওয়ার আগ্রহ দেখা দিচ্ছে। নিয়মিত পাঠের চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও এসব কোর্সের প্রতি বেশি মনোযোগী হতে দেখা যায়।

এর ফলে অনেকটা সনদ বাণিজ্য হয়ে পড়ায় এসব কোর্স নিয়ে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা নানা সময় প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। এবার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ইউজিসি থেকেই সেই সব কোর্স বন্ধের সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়।

এদিকে সরকারি-বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক ও নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টদের জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

এ সময় শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে ‘ওয়াচ ডগ’ হিসেবে কাজ করার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

এছাড়া বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ যুগে শিক্ষার্থীদের গতানুগতিক শিক্ষার পরিবর্তে চাহিদা ভিত্তিক ও যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি।