আপনি পড়ছেন

নতুন শিক্ষাক্রমের বইয়ে ভুল কিংবা কোনো বিষয় নিয়ে কারও অস্বস্তি থাকলে সেগুলো যথাযত নিয়মে সংশোধন করা হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা যা শিখবো তা করে করে শিখবো। সেই লক্ষ্যেই নতুন শিক্ষাক্রম।

education ministerঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১৪ জানুয়ারি, শনিবার সকালে শিক্ষা উপহার বিতরণ ও ‘একুশ শতকের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ছাত্রসমাজের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী নতুন পাঠ্যক্রম সম্পর্কে বলেন, এ বছর প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণি এটা শিখবে। আর মাধ্যমিকে সপ্তম ও অষ্টম। ২০২৩, ২৪ ও ২৫ এই তিন বছর মিলিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হবে। আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমে এ বছর নতুন যে বইগুলো গেছে সেগুলো পরীক্ষামূলক হিসেবেই গেছে। গত বছর মাত্র ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরা এগুলো পাইলট করেছি। এখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের দারুণ সাড়া পেয়েছি।

তিনি বলেন, এ বছর আমরা ৩৩ হাজার মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলকভাবে বইগুলো দিয়েছি। প্রতিনিয়ত আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেব এবং সারা বছর বইগুলোকে আমরা পরিমার্জন, পরিশীলন করব।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, প্রথম, ষষ্ট, সপ্তম শ্রেণিতে যে বইগুলো গেছে সেগুলোতে কোথাও ভুল থাকতে পারে। কোনো কোনো বিষয় নিয়ে কারও অস্বস্তি থাকতে পারে। আমাদের জানাবেন। আমরা আগামী বছরের জন্য সেগুলো সংশোধন করবো। বাকি ক্লাসের বইগুলো সেই আলোকে তৈরি করবো। কাজেই এই বছরের বইগুলো কিন্তু পরীক্ষামূলক সংস্করণ।

দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ঔপনিবেশিক এবং সেটা শুধু কেরানি পয়দা করা শিক্ষা ব্যবস্থা। এই ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে স্বাধীন দেশের স্বাধীন সোনার বাংলা গড়ার যে পরিকল্পনা সেটি সম্ভব হবে না।

সেজন্যই তিনি প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড. কুদরতে খোদাকে প্রধান করে একটি কমিশন গঠন করেছিলেন, দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। তার দিকনির্দেশনায় যে প্রথম শিক্ষাব্যবস্থায় বাংলাদেশে গড়ে উঠেছিল, সেটি বাস্তবায়িত হলে, আজ যে বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছি সেটা আমরা আরও আগে দেখতে পেতাম। বরং হয়তো আরও এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ আমার পেতে পারতাম।