লিটন ঝড়ে প্রথম জয় কুমিল্লার

অবশেষে চতুর্থ ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। হারতে থাকা দলটি আজ জয় পেয়েছে তুলনামূলক কম শক্তির চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে। এ দিন ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান লিটন কুমার দাস। তার ২২ বলে ৪০ রানের সুবাদে ছয় উইকেট হাতে রেখে ১৩৬ রানের ছোট লক্ষে পৌঁছে যায় ইমরুল কায়েসের দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আট উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৩৫ রান তোলে চট্টগ্রাম। ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠে লিটনের হাতে।

২২ বলে ৪০ রান করেন লিটন কুমার দাস

নিস্প্রাণ এই ম্যাচে একমাত্র বিনোদন যা দেবার তা লিটনের থেকে পাওয়া গেছে। ছোট রানের লক্ষ্যে নেমে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের দর্শকদের চার ছক্কার বিনোদন দেন এই উইকেট কিপার ব্যাটার। তার ইনিংসে তিন ছক্কার সঙ্গে বাউন্ডারি হাঁকান চারটি।

এছাড়া ওপেনিংয়ে তার সঙ্গী মোহাম্মদ রিজওয়ান দেখে-শুনে খেলে করেন ৩৫ বলে ৩৭ রান। পাকিস্তানি এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।

এছাড়া কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান। তিনি আউট হলে জাকের আলীও থাকতে পারেননি বেশি সময়, ২৩ বলে করেন ২২ রান। তাতে জয় পেতে সমস্যা হয়নি ভিক্টোরিয়ান্সদের। বাকী পথটুকু পাড়ি দেন দু্ই পাকিস্তানি ব্যাটার খুশদিল শাহ ও রিজওয়ান। খুশদিল অপরাজিত ছিলেন ১০ রানে।

চট্টগ্রামের পক্ষে দুটি উইকেট নেন মালিন্দা পুস্পকুমারা। এছাড়া একটি করে উইকেট পান মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও জিয়াউর রহমান।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম চৌধুরী। শুরুতেই তানভীর ইসলাম ও মুকিদুল ইসলামের বোলিং তোপে পড়ে দলটি। প্রথম আঘাত হানেন তানভীর। দলের ২ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফেরান ইনফর্ম ব্যাটার উসমান খানকে।

এরপর ৪৩ রানের একটি জুটি বাধেন মাক্স ওডাউড ও আফিফ হোসেন। তবে দুই ব্যাটারই নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি। আফিফ আউট হন ২১ বলে ২৯ করে, অন্যদিকে ওডাউড ফেরেন ২৪ বলে ২৪ করে।

এই জুটি ভাঙার মধ্য দিয়ে তাসের ঘরের মত ভেঙে পরে চট্টগ্রামের ব্যাটিং লাইনআপ। দলটি একশ ছোয়ার আগে হারিয়ে বসে সাত উইকেট। সেখান থেকে অধিনায়কের একার চেষ্টা (২৩ বলে ৩৭ রান করেন শুভাগত) বড় সংগ্রহ দিতে যথেষ্ট হয়নি। নির্ধারিত কুড়ি ওভার শেষে ১৩৫ রানেই থামে তাদের ইনিংস।

কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে এ দিন মোটামুটি সব বোলারই সফল ছিলেন। দলটির তিনজন বোলারই পেয়েছেন দুটি করে উইকেট। তানভীরের সঙ্গে দুটি করে উইকেট নেন মোসাদ্দেক হোসেন ও খুশদিল শাহ। একটি উইকেট পান মুকিদুল।