সিলেটকে মাটিতে নামাল কুমিল্লা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরে দারুণ ছন্দে ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে প্রথম পাঁচ ম্যাচের সবকটিতে জিতেছে সুরমা পাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। অবশেষে উড়তে থাকা সিলেটকে মাটিতে নামাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

সিলেট স্ট্রাইকার্সকে শুরুতেই চেপে ধরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ফর্মে থাকা সিলেটকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সাত উইকেটে ১৩৩ রান তোলেন মাশরাফি অ্যান্ড কোং। জবাবে এক ওভার হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা (১৩৪/৫)। টুর্নামেন্টে পঞ্চম ম্যাচে এটা তাদের দ্বিতীয় জয়।

সিলেট অবশ্য এক শ’ রানের আগেই অল আউটের আশঙ্কায় পড়েছিল। কুমিল্লার দুর্দান্ত বোলিং তোপে ৫৩ রান যোগ করতেই সাত উইকেট খুইয়ে বসে তারা। অষ্টম উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন ইমাদ ওয়াসিম ও থিসারা পেরেরা। ইনিংসে দুজনই শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন; দলকে এনে দেন মান বাঁচানো সংগ্রহ।

৪২ বলে ৭০ রানের ঝড় ওঠে লিটন দাসের ব্যাটে

৩৩ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৪০ রান করেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার ইমাদ। ৩১ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন লঙ্কান তারকা পেরেরা। এ ছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত ১৯ বলে ১৩ এবং মুশফিকুর রহিম ১৫ বলে ১৬ রানে ফেরেন সাজঘরে।

সিলেটের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন মুকিদুল ইসলাম ও হাসান আলি। একটি করে শিকার হাসান আলি ও তানভির ইসলামের। তাদের দারুণ নৈপুণ্যে লক্ষ্যমাত্রা কুমিল্লার নাগালেই থাকে। কিন্তু যতটা সহজ ভাবা হচ্ছিল সেভাবে ম্যাচটা জেতেনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জয়ের জন্য ১৯তম ওভারের শেষ বলটি খরচ করতে হয়েছে তাদের।

সহজ রান তাড়ায় প্রায় একাই লড়াই করেছেন লিটন দাস। মসৃণ করে দেন জয়ের পথ। ৪২ বলে সাতটি চার ও চারটি ছক্কায় ৭০ রানের ইনিংসে কুমিল্লা ওপেনারই হয়েছেন ম্যাচ সেরা। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৮ বলে ১৫, অধিনায়ক ইমরুল ১৯ বলে ১৮ ও জনসন চার্লস ১৮ বলে ১৮* রান করেন। সিলেটের পক্ষে চার ওভারে ১৯ রানে দুই উইকেট নেন মাশরাফি।