পাকিস্তান ও রাশিয়ার মধ্যে তিন চুক্তি

ইসলামাবাদে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সংক্রান্ত আন্তঃসরকারি কমিশনের অষ্টম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে রাশিয়া ও পাকিস্তান তিনটি আন্তঃসরকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। শুক্রবার উভয় দেশের জ্বালানিমন্ত্রীরা এ ব্যাপারে একটি যৌথ বিবৃতি দেন। আজার নিউজ, টিএসএসের খবর।

রাশিয়া ও পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তি দুদেশের সম্পর্কে আনবে নতুন গতি

চুক্তিগুলো হলো- রাশিয়া ও পাকিস্তানের মধ্যে শুল্ক সমস্যায় সহযোগিতা এবং পারস্পরিক সহায়তা চুক্তি; কাস্টমস সম্পর্কিত নথি ও তথ্য বিনিময় এবং ফেডারেল রেভিনিউ কাউন্সিলের কাস্টমস সার্ভিসের মধ্যে পরিবহণ সংক্রান্ত চুক্তি এবং তৃতীয়টি হল দুদেশের বিমান সংস্থাবিষয়ক চুক্তি।

পাকিস্তান ও রাশিয়া ১৯৪৮ সালের ১ মে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। উভয় দেশই ঘনিষ্ঠ, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক উপভোগ করে। দ্বিপক্ষীয় আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক বিষয়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস এবং মতামতের অভিন্নতা রয়েছে। পাকিস্তানের লক্ষ্য রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য, শক্তি, সংস্কৃতি, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী বহুমাত্রিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা।

দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সোভিয়েত আমলের। করাচি স্টিল মিলস, মুজাফফরগড়, মুলতান-২ এবং গুড্ডুর প্রধান তাপবিদ্যুৎ সুবিধা সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলে নির্মিত হয়েছিল। তেল ও গ্যাস উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেড (ওজিডিসিএল) প্রতিষ্ঠা এবং পাকিস্তানের কৃষি খাতের উন্নয়নেও পাকিস্তানকে সহায়তা করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন।

উভয় দেশই চায়, টেকসই শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে তারা অভিন্ন প্রতিবেশী এবং আঞ্চলিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য আকাঙ্ক্ষার ক্ষেত্রে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে।

এছাড়া উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রেও পাকিস্তান-রাশিয়া পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনে (এসসিও) পাকিস্তানের যোগদানের ঘটনায় মস্কো নতুন শক্তি সঞ্চার করেছিল।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইমপোর্ট এক্সপো'র সাইডলাইনে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের সাথে দেখা করেন। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। একই বছর সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনের ফাঁকে নিউইয়র্কে দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।