জিততে হলে শেষ ১২ বলে ২৩ রান দরকার ছিল ফরচুন বরিশালের। অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ক্রিজে তখন পাকিস্তানি ইফতেখার আহমেদ। কিন্তু কেউ পারলেন না দুই ওভারে ২৩ রানের সমীকরণ মেলাতে। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য বরিশালের দরকার হয় ১৫ রান। প্রথম বলে ইফতেখার এবং দ্বিতীয় বলে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ। পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে মোহাম্মদ ওয়াসিম ছক্কা এবং চার মেরে কেবল জয়ের আক্ষেপই বাড়ালেন। দুই রানের জয় পায় মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্স।
ম্যাচ জিতে মাশরাফি-মুশফিকদের উদযাপন
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আজ মুখোমুখি হয়েছিল পয়েন্ট টেবিলের দুই শীর্ষ দল। টস জিতে সিলেট স্ট্রাইকার্সদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নির্ধারিত ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৭৩ রান যোগ করে সিলেট। জবাবে ১৭১ রানে থামে বরিশালের ইনিংস। ম্যাচ সেরা হয়েছেন নাজমুল হাসান শান্ত।
অথচ দিনের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি স্ট্রাইকার্সদের। পাকিস্তানি বোলার মোহাম্মদ ওয়াসিমের বোলিংয়ে রীতিমতো কাপছিল জাকির-তৌহিদ-মুশফিকুর রহিমরা। দ্বিতীয় ওভারে বোলিং করতে এসেই বরিশালের এই পেসার তুলে নেন তিন ব্যাটারকে। ১৫ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল সিলেট।
উইকেট নেওয়ার পর মোহাম্মদ ওয়াসিমের উল্লাস
সেখান থেকে দলকে কী দারুণভাবেই না পথ দেখালেন শান্ত। প্রথমে ইংলিশ ব্যাটার টম মুরসকে নিয়ে গড়েন ৮১ রানের জুটি। মুরস ফিরে গেলেও শেষ পর্যন্ত দলের রান ১৭৩-এ নিয়ে যান নাজমুল। তিনি অপরাজিত থাকেন ৬৬ বলে ৮৯ রান করে। মুরস ৩০ বলে করেন ৪০ রান। এছাড়া থিসারা পেরারা ১৬ বলে করেন ২১ রান।
বরিশালের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিন উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ ওয়াসিম এবং একটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করে বরিশাল। দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও ইব্রাহিম জাদরান এনে দেন ৪২ রানের জুটি। তবে সেখান থেকে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে সাকিবের দল। সাইফ ১৯ বলে ৩১ ও আনামুল হক ৮ বলে ৩ রান করে আউট হন। এরপর অধিনায়ক সাকিব জাদারনকে নিয়ে দলীয় শত রান পার করেন।
৬৬ বলে ৮৯ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংসের পথে নাজমুল হাসান শান্তর একটি দৃষ্টিনন্দন শট
কিন্তু আবারও জোড়া উইকেট হারায় দক্ষিণাঞ্চলের দলটি। দলীয় ১০৭ রানে ব্যক্তিগত ৪২ রান করে ফেরেন জাদরান। ১০৮ রানে সাকিবও ফিরে যান ব্যক্তিগত ১৮ বলে ২৯ রান করে। উইকেট হারিয়ে আস্কিং রানরেটের চাপে পড়ে দলটি। সেখান থেকে বাকিরা চেস্টা করলেও আর জিততে পারেনি।
এছাড়া ১৩ বলে ১৭ রান করেন ইফতেখার। করিম জানাত ১২ বলে ২১, মাহমুদুল্লাহ ৪ বলে ৭ ও ওয়াসিম ৪ বলে ১০ রান করেন।
সিলেটের পক্ষে দারুণ বোলিং করা রেজাউর রাজা নিয়েছেন তিন উইকেট। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ আমির ও তানজীম সাকিব। ইমাদ উইকেট না পেলেও চার ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৩ রান।