এভাবেও ম্যাচ হারা যায়! সহজ ম্যাচকে কত কঠিন করা যায় খুলনা টাইগার্স তা দেখিয়ে দিয়েছে। দলটি শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়েছে মাত্র ৯ রানে! তাসকিন ও আলামিনের বোলিং তোপে ২৪ রানে ঢাকা ডমিনেটর্সের কাছে হেরে গেছে খুলনা।
ম্যাচ জিতে ঢাকা ডমিনেটর্স খেলোয়াড়দের উল্লাস
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৮ রানে অলআউট হয় ঢাকা ডমিনেটর্স। জবাবে ১৫ ওভার তিন বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৮৪ রানে থামে ইয়াসির আলি রাব্বির দল। মাত্র ৯ রানে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন তাসকিন আহমেদ।
লো-স্কোরিং ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করতে পারেনি খুলনা। দলীয় ৯ রানে শাই হোপকে হারায় দলটি। এরপর তামিম ইকবাল জুটি বাঁধার চেষ্টা করেন মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে। দলের ৩০ রান পর্যন্ত জয় ছিলেন বটে! নাসির হোসেনকে তুলে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন আরিফুল হকের হাতে।
আরও দশ রান এগিয়ে দিয়ে দলীয় ৪১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩০ রান করে সাজঘরে ফেরেন তামিমও। তার আউটের পর কয়েক দফায় বেঁচে গিয়েও থাকতে পারলেন না আজম খান। উইকেট পতনের শুরুর ডাক তিনিই দিলেন প্রথমে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দলটি। অধিনায়ক আউট হন ২৪ রান করে। এর বাইরে বাকিদের রান যেন টেলিফোনের ডিজিট।
খুলনার চার উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তাসকিন আহমেদ
ঢাকার পক্ষে দারুণ বোলিং করেছে তাসকিন, তুলে নিয়েছেন চার উইকেট। এছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন নাসির ও আলামিন। একটি করে উইকেট গেছে আমির হামজা ও সালমান ইরশাদের পকেটে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নামা ঢাকার শুরুটা হয় আরও বাজে। দলীয় আট রানের মধ্যে হারায় মিজানুর রহমান, উসমান গনি ও মোহাম্মদ মিথুনের উইকেট। শুরুর এই তিন ধাক্কাই দিয়েছেন নাহিদুল ইসলাম। খুলনার এই অভিজ্ঞ অফস্পিনার পরে নিয়েছেন আরও একটি উইকেট। এ জনয় তিনি ব্যয় করেছেন মাত্র ৬ রান।
তবে এক প্রান্তে উইকেট আগলে রাখেন অফ ফর্মে থাকা সৌম্য সরকার। ৪৫ বলে ৫৭ রান করেন বাহাতি এই ওপেনার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে তাসকিনের ব্যাট থেকে, ৯ বলে ১২। এছাড়া ১১ বলে ১০ রান করেন আল-আমিন হোসেন।
খুলনার বোলারদের মধ্যে নাহিদুল ছাড়াও অসাধারণ বোলিং করেছেন নাসুম আহমেদ। চার ওভার বল করে ১১ রান খরচায় নিয়েছেন তিন উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, নাহিদ রানা ও ওয়াহাব রিয়াজ।