দারুণ একটা জয়ের অপেক্ষাতে ছিল এফসি কোলন। বায়ার্ন মিউনিখকে প্রায় হারিয়ে দিচ্ছিল তারা। তাও আবার অ্যালিয়েঞ্জ এরিনায় এসে। শেষ পর্যন্ত জয়বঞ্চিত হতে হলো তাদের। হারের মুখ থেকে বায়ার্নকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন জশুয়া কিমিখ। মঙ্গলবার রাতে তার গোলের সুবাদে পয়েন্ট পেয়েছে ইউলিয়ান ন্যাগেলসম্যানের দল।
ড্রয়ের পর হতাশ বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকার টমাস মুলার
জার্মান বুন্দেসলিগার ম্যাচটিতে কোলনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। লিগে এনিয়ে টানা দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে তারা। সবমিলিয়ে লিগের চলতি মৌসুমে এটা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ষষ্ঠ ড্র। তবে হোঁচট খেলেও শীর্ষস্থান অটুট রেখেছেন ন্যাগেলসম্যানের শিষ্যরা।
১৭ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট বায়ার্ন মিউনিখের। তাদের ড্রয়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে পয়েন্ট ব্যবধান কমিয়ে এনেছে আরবি লাইপজিগ। ১৭ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট তাদের। লাইপজিগের পেছনে থাকা ইন্ট্র্যাক্ট ফ্র্যাঙ্কফুর্ট, ইউনিয়ন বার্লিন ও ফ্রেইবুর্গ- তিনটি দলেরই ৩০ ম্যাচে সংগ্রহ সমান ৩০ পয়েন্ট।
গোলের পর বায়ার্ন মিউনিখের উল্লাস
ম্যাচের শুরুতেই গোল হজম করে বসে বায়ার্ন মিউনিখ। চার মিনিটে কোলনকে এগিয়ে দেন এলিস স্কিরি। গোল হজমের পর সর্ব শক্তি নিয়ে অতিথিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাভারিয়ানরা। ৭৮ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশ্যে ২৫টি শট নেয় তারা। যার সাতটিই ছিল লক্ষ্যে। কিন্ত লক্ষভেদ হচ্ছিল না।
অবশেষে স্বস্তি এসেছে নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে। ৯০ মিনিটে কিমিখের গোলের ওপর দাঁড়িয়ে লিগের এই মৌসুমের দ্বিতীয় হার ঠাকায় বায়ার্ন। জয়বঞ্চিত হয়ে পয়েন্ট তালিকার নয়ে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া হলো কোলনের। ১৭ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট তাদের। বায়ার্নের হতাশার রাতে শালকে জিরো ফোরকে তাদেরই মাঠে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে লাইপজিগ। হার্থা বার্লিনের মাঠে ৫-০ গোলে জিতেছে ভলসফবুর্গ।