বিশ্বকাপের সেরা তরুণকে নিয়ে আশাবাদী বেনফিকা কোচ

কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়ে যে কয়েকজন খেলোয়াড় অবদান রেখেছেন এনজো ফার্নান্দেজ তাদের মধ্যে অন্যতম। বিশ্বকাপজুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে জিতেছেন সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার। এরপর থেকেই বেনফিকার এই তারকার ওপর নজর পড়েছে ইউরোপের প্রথম সারির কয়েকটি ক্লাবের। অবশ্য তাকে রেখে দেওয়ার বিষয়ে বেশ আশাবাদী প্রধান কোচ রজার শেমিড।

শেমিড ও এনজো

বিশ্বকাপের পরই এনজোর বিডে নামে লিভারপুল এবং চেলসির মতো কয়েকটি ক্লাব। শুরুতে দৌঁড়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিল লিভারপুল। ২২ বছর বয়সী সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারের জন্য আর্থিক প্রস্তাবও দেয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের জায়ান্টরা। শেষ পর্যন্ত সে চুক্তি আর আলোর মুখ দেখেনি। তাই এনজোর বিড থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় লিভারপুল।

লিভারপুল সরে দাঁড়ালেও এনজোকে পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চেলসি। চলমান মৌসুমের নাজেহাল অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে দল ঢেলে সাজাচ্ছে ব্লুজরা। নতুন পরিকল্পনায় এনজোকে নিজেদের অংশ বানাতে মরিয়া লন্ডনের প্রতিনিধিরা। এজন্য টাকার বস্তা নিয়ে বেনফিকার দরজায় কড়া নাড়ে চেলসি। তবে আর্থিক অঙ্কটা পছন্দ না হওয়ায় চেলসিকেও ফিরিয়ে দেয় পর্তুগিজ ক্লাবটি।

এনজোর জন্য ১২০ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফি বেঁধে দিয়েছে বেনফিকা। শোনা যাচ্ছে, চলমান শীতকালীন দলবদল শেষ হওয়ার আগেই এনজোর জন্য আবার বিডে নামার পরিকল্পনা আঁটছে চেলসি। তবে বেনফিকার প্রধান শিক্ষক চাইছেন, নতুন চুক্তি করে পুরনো ঠিকানাতেই থেকে যাক আর্জেন্টিনার এই উঠতি তারকা।

সংবাদ সম্মেলনে শেমিড বলেন, ‘এনজোর থাকা নিয়ে আমি যথেষ্ট আশাবাদী। আপনি যখন এনজোকে খেলতে দেখেন তখন আপনি বলতে পারেন সে দারুণ ছন্দে আছে। সে খেলা ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবছে না। আমি আমার সেরা একাদশের খেলোয়াড়দের মধ্যে কাউকে হারাতে চাই না। খেলোয়াড়দের মনোনিবেশ দেখছি। আশা করি এটি অব্যাহত থাকবে।’