লিভারপুলের অবিশ্বাস্য বিদায়

এমন একটা ম্যাচের পর আপনি কি লিভারপুলের জন্য দুঃখ করবেন, নাকি কাউরো মিটোমার জাদুর প্রশংসা করবেন? আপাতত সে প্রশ্ন না হয় দূরে রাখি। একজন নিরপেক্ষ ফুটবল সমর্থক হয়ত মিটোমার জাদুতে মুগ্ধ হবেন। কিন্তু যারা লিভারপুলের সমর্থক, তাদের জন্য কিছু বলার নেই। বাস্তবতা শুধু এটাই, ব্রাইটনের কাছে এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডের খেলায় ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরে গেছে লিভারপুল।

ম্যাচের ৯২ মিনিটে গোল করে কাউরো মিটোমার সেই দৌড়

দুর্ভাগ্য যখন পিছু নেয় তখন সবই বিপক্ষে যায়। কথাটা লিভারপুলের জন্য বেশ খাটে। চারিদিকে সমালোচনার তীর সইতে থাকা দলটি আজ নেমেছিল সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে। এফএ কাপের চতুর্থ রাইন্ডের ম্যাচে আজ রোববার প্রথমার্ধে এগিয়েও গিয়েছিল অল রেডরা।

ম্যাচের ৩০ মিনিটে মিডফিল্ডার হার্ভে এলিয়টের গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। গোলটিতে সহায়তা করেন মোহাম্মদ সালাহ। চলতি মৌসুমে দারুণ খেলা ব্রাইটনের খেলোয়াড়রা গোল শোধ দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। তাতে সময় লাগেনি ডলফিনসদের। ৩৯ মিনিটেই দলকে সমতায় ফেরান ব্রাইটন সেন্টার ব্যাক লুইস ডাংক।

জটলার মধ্য থেকে কয়েকজনকে কাটিয়ে গোল করেন কাউরো মিটোমা

এরপর প্রথমার্ধে আর গোল পায়নি কোনো দল। দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই একাধিক পরিবর্তন আনেন ক্লপ। ডারউইন নুনেস ও জর্ডান হ্যান্ডারসনকে নামিয়ে মিডফিল্ডে ধার বাড়ান তিনি। কিন্তু এদিন ব্রাইটনের সঙ্গে কিছুতেই পেরে উঠেনি অল রেডরা। ম্যাচে সবকিছুতেই এগিয়ে ছিল ঘরের মাঠের দলটি। বল পজিশন থেকে টোটাল শটে কিংবা নির্ভুল পাসে; সবখানেই লিভারপুলকে টেক্কা দেয় দ্য ডলফিনস।

কিন্তু ৯০ মিনিট হয়ে গেলেও ১-১ সমতা মনে করিয়ে দিচ্ছিল আনফিল্ডে দুই দলের সেই অমিমাংসীত ম্যাচকে। ফর্মে থাকা মিটোমা তা হতে দেননি। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে গোল করে তাক লাগিয়ে দেন সবাইকে। প্রায় চার-পাঁচজন লিভারপুল খেলোয়াড়দের ভিড়ের মধ্য থেকে বল পাঠিয়ে দিলেন জালে!

তার ওই গোলেই এফএ কাপের পঞ্চম রাউন্ডের টিকিট পায় দলটি। তাও এমন সময়ের গোল, যেটা দেখে অসাধারণ-অবিশ্বাস্যই বলা যেতে পারে, নয়ত গোলের পর ধারাভাষ্যকারের মতো ‘ওহ মাই ওয়ার্ড…’ বলে আপনাকে তাকিয়ে থাকতে হবে। তাকিয়ে থেকে মুগ্ধ হতে হবে ২৫ বছর বয়সী মিটোমার গোলের উদযাপনে।