শেষ মুহূর্তে পিএসজির নাটকীয় হোঁচট

প্রায় প্রতি ম্যাচেই গোল হজম করাটা এক প্রকার ‘অভ্যাস’ বানিয়ে ফেলেছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। এই বদঅভ্যাসের জন্য আরও একটার মূল্য দিতে হলো মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেদের। জয়ের অপেক্ষায় থাকা পিএসজি শেষ মুহূর্তের গোলে জয়বঞ্চিত হলো। প্যারিসে এসে তাদের ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে রেইমস।

নেইমারের চোখে-মুখে হতাশার ছাপটা পরিষ্কার

অবশ্য পয়েন্ট হারানোর জন্য দুর্ভাগ্যকে দোষারোপ করতে পারে পিএসজি। এগিয়ে থেকেও তাদের হোঁচটের কারণ মার্কো ভেরাত্তির লাল কার্ড। ৫৯ মিনিটে সরাসরি মাঠ থেকে বহিষ্কার হন ইতালিয়ান মিডফিল্ডার। ১০ জনের পিএসজি রক্ষণ আগলে রাখতে আধ ঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।

পার্ক ডু প্রিন্সেসে ম্যাচটা যে পিএসজির জন্য সহজ হবে না সেটা বোঝা গেছে বিরতির আগেই। প্রথমার্ধে স্বাগতিকদের গোলশূন্য ব্যবধানে রুখে দেয় রেইমস। অথচ কাতার বিশ্বকাপের পর এই প্রথম দলের সেরা তিন তারকাকেই একাদশে পেয়েছিলেন পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফ গালতিয়ের। কিন্তু সেটির সুফল পেল না তারা।

ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের চলতি মৌসুমে এটা পিএসজির তৃতীয় ড্র। লিগে সবশেষ চার ম্যাচের তিনটিতেই পয়েন্ট হারাল তারা। এর মধ্যে আছে দুই হার। দুটোই বিশ্বকাপের পর। কাতার থেকে ফেরার পর গালতিয়েরের শিষ্যরা যে ফর্ম হারিয়েছেন এতে তা পরিষ্কার। নিজের হারিয়ে খুঁজে ফিরছে প্যারিসিয়ানরা।

পিএসজি অবশ্য জয়ের অপেক্ষাতেই ছিল। ৫১ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার নেইমার জুনিয়রের গোলে লিড নেয় তারা। লিড নেওয়ার আনন্দ আট মিনিট পর মাটি হয়ে গেছে ভেরাত্তির লাল কার্ডে। একজন কম নিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করেও জিততে পারল না পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে দারুণ এক গোলে সমতায় ফেরে রেইমস।

নাটকীয় ম্যাচে অতিথিদের পক্ষে সমতাসূচক গোলটি করেন ইংলিশ তরুণ ফরওয়ার্ড ফোলারিন বালোগান। লিগের এই মৌসুমে এটা তার ১১ নম্বর গোল। ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় পাঁচ লিগে অনূর্ধ্ব-২১ ফুটবলারদের মধ্যে এতো গোল নেই আর কারোরই। আর্সেনাল থেকে ধারে বালোগানকে উড়িয়ে এনে যে রেইমস ভুল করেনি সেটা আরও একবার বোঝা গেল।

অবশ্য হোঁচটের পরও লিগ ওয়ানের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে পিএসজি। লিগের কুড়িতম রাউন্ড শেষে ৪৮ পয়েন্ট তাদের। তিন পয়েন্ট পিছিয়ে দুইয়ে আছে আরসি লেন্স। তাদের পেছনে আছে যথাক্রমে অলিম্পিক মার্শেই (৪৩), এএস মোনাকো (৩৮) ও রেঁনে (৩৭)। পিএসজির মাঠ থেকে পাওয়ার পরও তালিকার ১১ নম্বরে আছে রেইমস। তাদের পয়েন্ট ২৬।