সূর্যোদয়ের মতোই চাঁদের পেছনে ‘উদিত হচ্ছে পৃথিবী’

চাঁদে পাঠানো দক্ষিণ কোরিয়ার তৈরি প্রথম চন্দ্রযান চন্দ্রপৃষ্ঠ ও পৃথিবীর বেশ কিছু দুলর্ভ ছবি পাঠিয়েছে। সূর্যোদয়ের মতোই চাঁদের পেছনে বিশাল পৃথিবী উদিত হওয়ার ছবি দেখা গেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার তৈরি প্রথম চন্দ্রযান চন্দ্রপৃষ্ঠ ও পৃথিবীর বেশ কিছু ছবি

চাঁদে পাঠানো নভোযানটির নাম ‘কোরিয়া পাথফাইন্ডার লুনার অরবিটার’। তবে এটি ‘ডানুরি’ নামেই বেশি পরিচিত। গেল বছরের আগস্টে পৃথিবী থেকে স্পেসএক্স রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপিত হয় এটি। এরপর থেকে এটি চাঁদের কাছাকাছি এগোতে থাকে।

চন্দ্রযানটি গেল মাসে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছায়। বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য এরপর থেকে তথ্য সংগ্রহে এটি চন্দ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি যেতে থাকে। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

আগামী মাস থেকে বৈজ্ঞানিক গবেষণা শুরু হবে কোরিয়া। তবে এরইমধ্যে সেখান থেকে পাঠানো নতুন কিছু ছবিতে দেখা যায়, সূর্যোদয়ের মতোই চাঁদের পেছনে পৃথিবী উদিত হচ্ছে। এমন দৃশ্য খুবি বিরল।

চাঁদের কক্ষপথে থেকে নভোযানটির ক্যামেরার বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট বিবরণে দেখা গেছে, চন্দ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি অবস্থান থেকেই এর বিভিন্ন গর্ত বা ছিদ্র দেখা সম্ভব। আর ছবিটিতে পটভূমি হিসেবে দেখা যায় বিশাল আকারের পৃথিবী।

চন্দ্রযানটির জন্য এইসব ছবি একটি ‘পরীক্ষা’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর এটি নিজেদের মহাকাশ অনুসন্ধান পরিকল্পনার ‘মূল’ পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করছে দক্ষিণ কোরিয়া।

চাঁদের এমন ছবি সম্পূরক অভিযানের মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠের ভবিষ্যৎ অনুসন্ধানের বেলায় একটি অবতরণ স্থান খুঁজে বের করার সুযোগ দেবে বিজ্ঞানীদের। এতে চন্দ্রপৃষ্ঠে নামার জন্য ছোট একটি যান থাকবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

কোরিয়ার এই নভোযানটি ‘মহাকাশ ইন্টারনেট’ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য প্রযুক্তিরও পরীক্ষা করবে। সফল হলে আন্তগ্রহ ইন্টারনেট ব্যবস্থা তৈরি করার আশা করছে দেশটি। এই ব্যবস্থার সহায়তা নিয়েই ডানুরি পৃথিবীতে ছবিগুলো পাঠিয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো ভবিষ্যতের বিভিন্ন মহাকাশ অভিযানের জন্য এসব নির্ভরযোগ্য কি না, তা যাচাই করা।