চার্লসের শতক, কুমিল্লার রোমাঞ্চকর জয়

রানের পাহাড় গড়েও জিততে পারল না খুলনা টাইগার্স। আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রানোৎসবের ম্যাচে তামিম-হোপদের সাত উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এবারের বিপিএলে এই প্রথম দুশোর বেশি রান তাড়া করে জিতল কোনো দল। হার না মানা বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ক্যারিবীয় ব্যাটার জনসন চার্লস।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের উল্লাস

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ইকবাল ও শাই হোপের তাণ্ডবের সুবাদে নির্ধারিত ওভারে দুই উইকেটে ২১০ রানের হিমালয়ে চড়ে খুলনা টাইগার্স। জবাব দিতে নেমে ১০ বল হাতে রেখেই দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স (২১৩/৩)। আসরে নয় ম্যাচের ছয়টিতেই জিতল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। আর নয় ম্যাচের সাতটিতে হেরে কার্যত বিদায় নিলো খুলনা টাইগার্স।

খুলনা টাইগার্সের ইনিংসের শুরুটা ছিল ধীরগতির। তৃতীয় ওভারে দলীয় ১৩ রানে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। পাঁচ বলে এক রানে আউট হন তিনি। এরপরই তামিম ও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হোপের তাণ্ডব শুরু। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৮৪ রান যোগ করেন তারা। এই জুটি গড়ার পথে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বোলারদের কচুকাটা করেন তামিম-হোপ।

সেঞ্চুরির খুব কাছ থেকে ফিরে এসেছেন তামিম ইকবাল

জুটি গড়ার পথে দুজনই আভাস দেন সেঞ্চুরি। খুলনার ইনিংসের ১৮তম ওভার শেষে তামিমের রান ৯৫। ১৯তম ওভার শেষে হোপের ৯০। কিন্তু আক্ষেপ, একজনও ছুঁতে পারলেন না তিন অংক। নব্বইর ঘরে থামতে হলো খুলনার দুই বিধ্বংসী ব্যাটারকে। তামিম ৯৫ রানে আউট হয়ে যান। আর হোপ ৯১ রানে অজেয় থাকলেন। শেষ দিকে চার বলে ১২ রান করেন আজম খান।

৬১ বলের ইনিংসে ১১টি চার ও চারটি ছক্কা হাঁকান তামিম। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে যান তিনি। ওভারের পঞ্চম বলে স্ট্রাইক পান হোপ। সেঞ্চুরি করতে ১০ রান দরকার ছিল তার। কিন্তু ক্যারিবীয় তারকা নিতে পারলেন কেবল এক রান। তবে তামিমরা শতকবঞ্চিত হলেও এই বিপিএলে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ পেয়েছে খুলনা।

দল জিতলে অবশ্য শতক না পাওয়ার আক্ষেপ কিছুটা হলেও হতো তামিম-হোপের। কিন্তু তাদের হতাশা বাড়িয়ে দেন বোলাররা। তবে রান তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। অসুস্থ হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার লিটন দাস। দুই বলে চার রান করেন তিনি। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে দ্বিতীয় ধাক্কা ব্যাটিং অর্ডারে। তিন বলে পাঁচ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে বিপর্যয় সামাল দেন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও জনসন চার্লস। দুজন মিলে গড়েন ১২২ রানের জুটি। জুটি ভাঙে রিজওয়ানের বিদায়ে। ৩৯ বলে আটটি চার ও চারটি ছক্কায় ৭৩ রান করেন পাকিস্তানি ওপেনার। তবে দলকে জিতিয়েই ২২ গজ ছাড়িয়েছেন চার্লস। ৫৬ বলে ১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ইনিংস সাজান ১১টি ছক্কা ও পাঁচ চারে। সেখানে তার শেষের সঙ্গী খুশদিল শাহ ১০ বলে ১২ রানে ফেরেন।