সহকারী হিসেবেও দেশি কোচে আস্থা নেই বিসিবির

মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, আমিনুল ইসলাম বুলবুলদের কোচিংয়ের খ্যাতি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। প্রথমজন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমসহ এদেশের নামকরা সব ক্রিকেটার গড়ার কারিগর। এসব তারকা ক্রিকেটাররা তো প্রয়োজনে এখনও ছুঁটে যান প্রিয় গুরুর কাছে। পরামর্শ নিয়ে বাইশ গজে ফিরে পান ছন্দ।

সাংবাদিক সম্মেলনে বিসিবি প্রধান

বুলবুল অবশ্য দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে তেমন একটা কাজ করছেন না। আইসিসির ডেভেলপম্যান্ট প্রোগ্রামের সাথে জড়িত সাবেক এই ক্রিকেটার। সে হিসেবে বিভিন্ন উঠতি ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের হয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। তাতে বেশ সফলও তিনি। এ দুইজন ছাড়াও স্থানীয় আরও কয়েকজন কোচ নিয়মিত সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। বলা চলে পরীক্ষিত বেশ কয়েকজন কোচ আছে বাংলাদেশে।

বাড়তি সুবিধার কথা মাথায় রেখে ক্রিকেটের পরাশক্তিরা স্থানীয় কোচদের সুযোগ করে দেন। এদিক থেকে ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। তাই স্থানীয় কোনো কোচের কাঁধে বাংলাদেশ জাতীয় দলের দায়িত্ব দেবে বিসিবি এমন দাবি বহু পুরোনো। পরিবর্তনের অংশ হিসেবে কোচ আসে কোচ যায়। কিন্তু সেই দাবি আজও পুরন হয়নি। সবশেষ গতকাল দ্বিতীয় দফায় চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সেই সাথে বোদ্ধাদের স্থানীয় কোচ পাওয়ার অপেক্ষাও দীর্ঘ হয়েছে।

প্রধানের দায়িত্ব তো দূরে থাক, সহকারী হিসেবেও স্থানীয় কোনো কোচকে পছন্দ নয় বিসিবির। সেটা বোঝা গেল বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপনের কথায়। তিনি জানিয়েছেন, হাথুরুর সহকারী হিসেবেও বিদেশি কোচ নিয়োগ দেবে বিসিবি। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমরা সহকারী কোচ খুঁজছি। কারও একার পক্ষে সবগুলো সিরিজ দেশে ও দেশের বাইরে পরিচালনা করা কঠিন। কেউ এক সিরিজে না থাকলে অন্য একজন যাবে।’

আগামী ২৪ ফ্রেবুয়ারির মধ্যে সহকারী কোচের নাম ঘোষণা করবে বিসিবি, ‘এখন পর্যন্ত কেউ রাজি হয়নি। অনেকের সাথে কথা বলেছি। এখনই নাম বলতে চাই না। ২৪ তারিখের মধ্যে জেনে যাবেন।’