মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের অবসান কতদূর
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশটির গণতান্ত্রিক সরকারকে উচ্ছেদ করে ক্ষমতা দখল করে। গত দুই বছরে তাদের হাতে নিহত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। বাস্তুচ্যুত হয়েছে অন্তত ১৫ লাখ লোক। জান্তার ক্ষমতা দখলের পর যুদ্ধ, হামলা কিংবা অপহণের ঘটনা মামুলি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডয়চে ভেলের খবর।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ‘তাতমাডও’ নামে পরিচিত। বর্তমানে দেশটির কারাগারগুলো রাজনৈতিক বন্দিতে পরিপূর্ণ। ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধান অং সান সু চিকে জালিয়াতির বিচারে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
এই গৃহযুদ্ধে অন্তত তিনটি বিবাদমান পক্ষ রয়েছে। সামরিক সরকার নিজেদেরকে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিল (এসএসি) বলে থাকে। যারা প্রতিরোধ আন্দোলনে যুক্ত তারা হলো- ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি), নির্বাসিত সংসদ কমিটি রিপ্রেজেন্টিং পাইডাংসু হুলুটাও (সিআরপিএইচ) এবং পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ)। আগের সরকারের নির্বাচিত এমপিরা সিআরপিএইচের সদস্য।
তাছাড়া মিয়ানমারজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিতে থাকা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী রয়েছে, যারা কেউ সেনাবাহিনীকে সমর্থন করে, আবার কেউ বিরোধিতা করে। আবার কিছু জাতিগোষ্ঠী আছে যারা নিরপেক্ষ।
সব ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দ্বন্দ্বে জড়িত দলগুলো একক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে। তবে দেশটির ক্ষমতার প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে সেনাবাহিনী। ইয়াঙ্গুন, মান্দালে এবং রাজধানী নাইপিদোর নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই।
জাতিগত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলগুলো কেন্দ্রের চারপাশে প্রতিরোধ অব্যাহত রেখেছে। এনইউজি এই সংখ্যালঘুদের সাথে নিয়ে জান্তাবিরোধী প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, শিগগিরই রাজধানীতে বড় ধরনের আন্দোলন হবে না, কারণ শক্তির ভারসাম্য এখনও সেনাবাহিনীর পক্ষে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে এখন সুখোই এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান রয়েছে। বিপরীতে বিরোধীরা ঘরে তৈরি রাইফেল দিয়ে সামরিক জান্তাকে প্রতিরোধ করছে।
পোল্যান্ডের ক্রাকওয়ের জাগিলোনিয়ান ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মিশাল লুবিনা ডিডব্লিউকে বলেন, সশস্ত্র প্রতিরোধের লক্ষ্য যতটা সম্ভব সামরিক বাহিনীকে চাপ দেওয়া। এই প্রতিরোধ আন্দোলন সম্ভাব্য কোনো পাল্টা অভ্যুত্থান বা ক্ষমতার রদবদল ঘটাতে পারবে না। বড়জোর দুপক্ষের মধ্যে আলোচনার পথ খুলে দিতে পারে। তবে তা শিগগির ঘটবে এমন কোনো লক্ষণ নেই।
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.