তামিমদের বিদায় করে প্লে-অফে সাকিবরা

ব্যাটারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দুশো কাছাকাছি সংগ্রহ তোলে ফরচুন বরিশাল। পরে দায়িত্বশীল বোলিং করলেন বোলাররা। ব্যাটে-বলে অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে আরও একটা সহজ জয় তুলে নিলো বরিশাল। সাকিব আল হাসানদের এবারের জয়টি এসেছে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে।

দ্বিতীয় দল হিসেবে এবারের বিপিএলের প্লে অফ পর্বে উঠল ফরচুন বরিশাল

আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাঁচ উইকেটে ১৯৫ রান করে ফরচুন বরিশাল। জবাবে আট উইকেটে ১৫৭ রান তুলতে সক্ষম হয় খুলনা টাইগার্স। ৩৭ রানের এই হারে আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের বিপিএল থেকে ছিটকে গেল খুলনা। বরিশাল উঠল প্লে-অফ পর্বে।

বরিশালের মজবুত সংগ্রহের একক নায়ক কেউ নন। ৩১ বলে তিনটি করে চার-ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন ইফতিখার আহমেদ। ২১ বলে চার ছক্কা ও এক চারে সাকিব করেন ৩৬ রান। এ ছাড়া এনামুল হক বিজয় সাত বলে ১২, ফজলে মাহমুদ ২৯ বলে ৩৯, ইব্রাহিম জাদ্রান ২৩ বলে ২৩ ও করিম জানাত আট বলে ১৮ রানে আউট হন। খুলনার পক্ষে ৪৮ রানে তিন উইকেট নেন ফল ফন মিকারিন।

এবারের বিপিএলে ১০ ম্যাচের ৮টিতেই হারল খুলনা টাইগার্স  

রান তাড়ায় ইনিংসের অষ্টম বলে বিদায় নেন ওপেনার তামিম ইকবাল। তিন বলে এক রান করেন তিনি। তার বিদায়ের পরও রানের চাকা সচল রাখেন শাই হোপ। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে আবার আউট হয়ে যান অ্যান্ড্রু বালবির্নি। ১৩ বলে ১২ রান করেন তিনি। দলের সংগ্রহ তখন ৪৭।

৫৪ রানের মধ্যে চতুর্থ উইকেট হারায় খুলনা। ২৪ বলে ৩৭ রানে আউট হয়ে যান দলের আশার প্রদীপ হোপ। এই বিপর্যয় খুলনা সামলে ওঠে ইয়াসির আলি রাব্বি ও নাহিদুল ইসলামের ব্যাটে। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৮১ রান যোগ করেন তারা। নাহিদুল ২৪ বলে ২৪ রানে বিদায় নিলে ভাঙে জুটি।

পাঁচ রানের ব্যবধানে ফিরলেন ইয়াসিরও। ৩৮ বলে পাঁচ চার ও তিন ছক্কায় ৬০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে আউট হন ইয়াসির। যা কেবল হারের ব্যবধান কমাতেই কাজে লেগেছে। শেষ দিকে পাঁচ বলে ১০ রান করেন নাসুম আহমেদ। ২৯ রানে চার উইকেট নিয়ে খুলনার মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন করিম জানাত।

তবে জানাত কিংবা ইফাতিখার নন, ম্যাচ সেরা হয়েছেন বরিশাল অধিনায়ক সাকিব। ব্যাট হাতে ঝড় তোলার পাশাপাশি বল হাতে চার ওভারে ২৫ রানে এক উইকেট নিয়ে বাঁহাতি অলরাউন্ডার জিতেছেন সেরার পুরস্কার। এবারের বিপিএলে ১০ ম্যাচে এটা সাকিবের বরিশালের সপ্তম জয়। ১০ ম্যাচের ৮টিতে হেরেছে খুলনা। সবচেয়ে বেশি আটটি জয় আছে শীর্ষে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্সের।