চট্টগ্রামকে হারিয়ে প্লে-অফে চ্যাম্পিয়নরা

ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন আফিফ হোসেন ধ্রুব ও উসমান খান। এই দুজনের ফিফটির ওপর দাঁড়িয়ে লড়াকু পুঁজি পেয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু বোলারদের ব্যর্থতায় আরও একটা হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো তাদের। চট্টগ্রামকে ছয় উইকেটে হারিয়ে এবারের বিপিএলের শেষ দল হিসেবে প্লে অফ পর্বের টিকিট কাটল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

চতুর্থ দল হিসেবে এবারের বিপিএলের প্লে অফের টিকিট কাটল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সাত উইকেটে ১৫৬ রান করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জবাবে চার উইকেট হারিয়ে এক ওভার হাতে রেখে সহজ জয় তুলে নেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এবারের বিপিএলে ১০ ম্যাচে এটা তাদের সপ্তম জয়। অন্যদিকে ১০ ম্যাচের আটটিতেই হারল চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রামের ইনিংসের শুরুটা ছিল বাজে। ছয় রানে দুই উইকেট হারায় তারা। পরে ইনিংসের হাল ধরেন উসমান ও আফিফ। দুজনই পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। ৪১ বলে ৫৩ রানে আউট হন উসমান। ৪৯ বলে ৬৬ রানে ফেরেন আফিফ। এ ছাড়া অধিনায়ক শুভাগত হোম ১০ বলে ১২ এবং ডরিস রসুলি নয় বলে ২১ রান করেন। শেষজন অবশ্য অজেয় ছিলেন।

কুমিল্লার পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন তানভির ইসলাম ও হাসান হালি। একটি শিকার সৈকত আলির। তাদের দারুণ বোলিং নৈপুণ্যে লক্ষ্যমাত্রা নাগালেই থাকে। সেটি প্রায় সহজ করে দেন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৪৭ বলে ৬১ রানের ইনিংসে রান তাড়ার পথটা মসৃণ করে দেন পাকিস্তানি ব্যাটার। শেষ দিকে ২৭ বলে ৩৭ রানের অপরাজিত থেকে শেষের আনুষ্ঠানিকতা সারেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

এ ছাড়া অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ১১ বলে ১৫, সৈকত আলি ১০ বলে ১৫, জনসন চার্লস ১২ বলে ৯, জাকের আলি সাত বলে ১০* রান করেন। চট্টগ্রামের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি ও জিয়াউর রহমান। তাদের ম্লান করে দেন রিজওয়ান। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানি ওপেনার পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

এবারের বিপিএলের সিলেট পর্ব শেষেই প্লে-অফের চার দল এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়। ১৬ পয়েন্ট পাওয়া মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্স সবার আগে ওঠে শেষ চারে। পরে তাদের পদাঙ্ক অনুকরণ করে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। তাদের পয়েন্ট ১৪। রানরেটে পিছিয়ে থাকা কুমিল্লার পয়েন্টও ১৪। ১২ পয়েন্ট রংপুরের।

শীর্ষ তিন দলই ম্যাচ খেলেছেন সমান ১০টি করে। রংপুর অবশ্য একটি কম এবং ঢাকা ডমিনেটর্স একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে। অর্থাৎ বিপিএলের বাকিগুলো বিদায় নেওয়া দলগুলোর জন্য স্রেফ নিয়মরক্ষার। তবে শীর্ষ চার দল লড়বে সেরা দুইয়ে থাকতে।