মেসির গোলে পিএসজির দুর্দান্ত ফেরা

চোট নিয়ে আগেই মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন নেইমার জুনিয়র। পরের ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের সঙ্গে যোগ দিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে ও সার্জিও রামোস। এই ত্রয়ীকে ছাড়া খেলতে নেমে আরও একটা ধাক্কা খায় প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ১৪ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে যান রেনাতো সানচেজ। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে পিএসজি হজম করল গোল।

পিএসজির গোল উদযাপনের মধ্যমণি লিওনেল মেসি

পার্ক ডু প্রিন্সেসে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচের বয়স তখন কুড়ি মিনিট। শুরুর জোড়া ধাক্কার পর ছন্দ ফিরে পেতে একটু সময় লাগল পিএসজির। পরে লিওনেল মেসির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে দারুণ একটা প্রত্যাবর্তন করল স্বাগতিকরা। শনিবার রাতে ঘরের মাঠে পিছিয়ে থেকেও তুলুজের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতল ক্রিস্টোফ গালতিয়েরের দল।

তুলুজের বিপক্ষে চোটজর্জর পিএসজির অন্যতম ভরসা ছিলেন মেসি। কিন্তু শুরুতে তাকেসহ পুরো দলটাকে একটু বিবর্ণ দেখা গেল। উল্টো হজম করতে হলো গোল। ফ্রি-কিক থেকে গোল করে প্যারিসকে চমকে দেন ফন ডেন বুমেন। এগিয়ে যায় তুলুজ। বিরতির আগেই পিএসজিকে সমতায় ফেরান আশরাফ হাকিমি। দ্বিতীয়ার্ধে দেখা গেল মেসির ঝলক।

আর্জেন্টিনা অধিনায়ক ৫৮ মিনিটে করেন কাঙ্খিত গোল। ২৫ গজ দূর থেকে বাঁ-পায়ের ট্রেডমার্ক শটে তুলুজের জালে বল জড়ান মেসি। ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের এই মৌসুমে এটা তার দশম গোল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৫তম। এই গোলটাই ম্যাচের ভাগ্য পিএসজির পক্ষে নির্ধারণ করে দিয়েছে। স্বাগতিকদের জয়ের ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। কিন্তু তাদের দুটি শট প্রতিহত হয় পোস্টে লেগে।

যার একটিতে ছিল মেসির দুর্ভাগ্য। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে তার শট ফিরে আসে তুলুজের পোস্টে লেগে। একই কারণে ম্যাচের ৩৪ মিনিটে গোলবঞ্চিত হন মার্কুইনহস। মেসির কর্নার কিকে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মাথা ছুঁয়েছিলেন বটে; কিন্তু গোলপোস্ট বেরসিক আচরণ করে তার সঙ্গে। পরের মিনিটেই ফের কেঁপে ওঠে পিএসজির জাল। তুলুজ ফরওয়ার্ড আবুখলাল গোল করলেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। বেঁচে যায় পিএসজি।

লিগ ওয়ানের চলতি মৌসুমে এটা পিএসজির টানা দ্বিতীয় ও সবমিলিয়ে ১৭তম জয়। এই জয়ে শীর্ষস্থান সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ২২ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট পিএসজির। এক ম্যাচ কম খেলা অলিম্পিক মার্শেইর সংগ্রহ ৪৬ পয়েন্ট। অর্থাৎ নাটকীয় কিছু না ঘটলে আবারও লিগ ওয়ানের শিরোপা জিততে চলেছে পিএসজি।

আগামী রোববার লিগের পরবর্তী ম্যাচে নিঁসের মুখোমুখি হবে পিএসজি। ম্যাচটা তাদের জন্য উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রস্তুতি নেওয়ার মঞ্চ। কারণ এর দুদিন পরই যে শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হবে গালতিয়েরের দল। চোটের কারণে ওই ম্যাচে থাকছেন না এমবাপ্পে। পিএসজির আশা, ওই ম্যাচের আগেই ফিট হয়ে উঠবেন নেইমার।