আপনি পড়ছেন

যশোর থেকে সন্তান ও সাবেক স্বামীর সঙ্গে দেখে করতে ঢাকায় এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী। এ ঘটনায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় করা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

asselt women dhakaনারীকে নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার ৫ আসামি

৫ ফেব্রুয়ারি, রোববার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বিল্লাল হোসেন (২৫), আল-আমিন হোসেন (২৬), সবুজ (২৬), শফিকুল ইসলাম (২৬) ও রাসেল ওরফে মোল্লা রাসেল (২৪)।

গেল শনিবার রাজধানীর গাবতলী, ডেমরা, বছিলা ও ভোলার তজুমুদ্দিন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গণমাধ্যমকে ডিসি এইচ এম আজিমুল হক বলেন, প্রায় ৪ মাস আগে পারিবারিক বিরোধের জেরে ওই নারীকে তালাক দেয় তার স্বামী। পরে স্বামীর কাছে সন্তানদের রেখে যশোরে গ্রামের বাড়ি চলে যান তিনি।

গেল ২৫ জানুয়ারি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আসেন তিনি। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকায় পৌঁছান। মোহাম্মদপুরের বসিলায় আগের ভাড়া বাসায় স্বামী-সন্তানের খোঁজ করেন। কিন্তু সেখানে তাদের পান না। এ বিষয়ে বাড়ির মালিক, ভাড়াটিয়ারা কেউ তাকে স্বামী-সন্তানদের ঠিকানা দিতে পারে না।

পরে আশপাশের এলাকায় খোঁজাখুজি করে তাদের সন্ধান না পেয়ে গ্রামে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে বছিলা চল্লিশফিট তিন রাস্তার মোড় থেকে একটি রিকশা নিয়ে গাবতলীর উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।

রিকশাওয়ালা ওই নারীকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে না নিয়ে ঢাকা উদ্যান ও বছিলা এলাকার বিভিন্ন সড়কে নিয়ে ঘোরাতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে ওই নারীকে তার স্বামীর বাসা খুঁজে বের করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

পরে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে ওই নারীকে বছিলা ফিউচার টাউনের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে রিকশাচালক ও তার সঙ্গীরা ওই নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একটি অস্থায়ী টিনের ঘরে নিয়ে যান।

হত্যা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে পাঁচজন ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে তার চিৎকারে এলাকায় দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ড ও লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয় বলে জানান এ পুলিশের কর্মকর্তা।

ডিসি বলেন, গেল ২৭ জানুয়ারি এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন ওই নারী। তবে ভুক্তভোগী আসামিদের বিষয়ে কোনও তথ্য দিতে পারেননি। মামলার পর তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। পরে জড়িতদের কাছ থেকে ওই নারীর মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজন ওই নারীকে ধর্ষণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলো। এ ঘটনায় তাদের সহযোগিতা করে আরও দুইজন। তবে তাদেরকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে ওই নারীর স্বামী-সন্তানদের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানান ডিসি।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.