৯ মাসে হাফেজ হওয়া উসমান লড়বেন বিশ্বমঞ্চে

মাত্র ৯ মাসে কোরআন মুখস্ত করে সাড়া ফেলে দেওয়া খুদে হাফেজ উসমান গনি এবার দেশের পক্ষ হয়ে কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কাতার গেছেন। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতাটি চলবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। উসমান এরই মধ্যে প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ডে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

উসমান গনি

কাতারের আওকাফ ও ইসলামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং আলজাজিরা টিভি চ্যানেলের শিশুতোষ চ্যানেল ‘জিম’ টেলিভিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তিজানুন নূর আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার সব কটি পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পবিত্র রমজানে জিম টেলিভিশনে প্রচারিত হবে।

শিশু-কিশোরদের ইসলামের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা, ইসলামি বিশ্বাস ও লক্ষ্যের প্রতি তাদের কর্তব্য উপলব্ধি করানো, কোরআনে হাফেজদের সম্মান প্রদর্শন এবং ইসলামের খেদমতে মুসলিম বিশ্বের কাছে কাতারকে উপস্থাপনের লক্ষ্য নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে জিম টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।

তিজানুন নূর আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা

কোরআন তেলাওয়াত ও হিফজ (মুখস্থ পড়া) এই দুই বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে অংশ নিচ্ছে ৫৪টি দেশের তিন শতাধিক শিশু-কিশোর প্রতিযোগী। এ প্রতিযোগিতায় শুধু ৯-১৩ বছর বয়সী শিশুরা অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। এবারের প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন মিসর, লেবানন, আলজেরিয়া ও কাতারের পাঁচ অভিজ্ঞ বিচারক। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৪০ হাজার, ৩০ হাজার ও ২০ হাজার ও ১০ হাজার রিয়াল করে পুরস্কার দেওয়া হবে।

প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বুধবার সন্ধ্যায় কাতারের উদ্দেশে রওনা করেন বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি ১০ বছর বয়সী হাফেজ মো. উসমান গনি। তার সাথে তার উস্তাদ হাফেজ মাওলানা তাওহিদ বিন আলীও কাতার গেছেন।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অনলাইনে ভিডিও রেকর্ডের মাধ্যমে বাছাই করে নির্বাচিত করা হয় এ প্রতিযোগিতার যোগ্য প্রতিযোগীদের। পরে তাদের দোহায় নিয়ে আসা হয়। এবারের বাছাই পর্বে বাংলাদেশ থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেন চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার মনপুরা গ্রামের মাওলানা মোস্তফা কামালের ছেলে হাফেজ মো. উসমান গনি। তিনি মারকাযুশ শাইখ ইলিয়াস লাহোরী’র ছাত্র। তিনি এই মাদ্রাসায় মাত্র ৯ মাসে পুরো কোরআন হিফজ করেছেন।