তামিমের চাওয়া 'সত্যিকারের উইকেট'

বাংলাদেশে কোনো দল খেলতে আসলে অধিনায়কের কাছে প্রশ্নটা অবধারিত হয়ে গেছে। তার উপর খেলাটা যখন মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, তখন তো কথাই নেই। নিজেদের শক্তিমত্তা বিবেচনায়ও বাংলাদেশ এই মাঠটিতে খেলা রাখার কথা ভাবে। স্পিনবান্ধব পিচ বানিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা পুরোনো টেকনিক। এবারও কি ওয়ানডেতে তামিম ইকবালের দল সে পথে হাঁটবে?

তামিম ইকবাল

২৬ ফেব্রুয়ারি, রোববার সংবাদমাধ্যমকে তামিম বলেছেন, ‘আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্যাটিং-বান্ধব পিচে খেলার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রথমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি ঢাকার শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা থাকলেও, শেষ ম্যাচটি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্থানান্তর করা হয়।’

এরপর তিনি ওই ম্যাচ স্থানান্তর নিয়ে বলেন, ‘দুটি পিচই সম্পূর্ণ আলাদা। ঢাকার পিচ স্পিনারদের স্বর্গ; যেখানে বল গ্রিপিং এবং টার্নিং হয়। এটি সব ফরম্যাটে বাংলাদেশের দুর্গ হিসাবে বিবেচিত হয়। অন্যদিকে চট্টগ্রামের সারফেস ব্যাটিং-বান্ধব। আর আমরা চেয়েছি ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে মানিয়ে নিতে।’

উইকেটের প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘আমরা সত্যিকারের উইকেটে কিভাবে আরও ভালো খেলা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছি। এই সিরিজ থেকে আপনারা আমাদের চিন্তার প্রতিফলন দেখতে পাবেন। তৃতীয় ওয়ানডেটি ঢাকায় খেলার পরিবর্তে চট্টগ্রামে স্থানান্তরিত করেছি, এটি কেবল শুরুর ধাপ।'

'আমরা বিশ্বকাপে বেশিরভাগ ম্যাচ ব্যাটিং-বান্ধব উইকেট আশা করছি। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে, এই পরিবর্তনের সময় ম্যাচের ফলাফলে আশাহত হব না। আমাদের হেরে যাওয়া সহ্য করতে হবে। প্রথমে ফলাফল নাও আসতে পারে, তবে দুই বা তিন মাসের মধ্যে আমরা এর সুফল পাবো বলে মনে করেন তামিম।

ইংল্যান্ডের পেসারদের সামলাতে নতুন বলের বিপক্ষে কীভাবে মোকাবেলা করা যায় তা বের করার চেষ্টা করছেন বলে জানান ওয়ানডে অধিনায়ক।

ঢাকার পিচে নতুন বলে সমস্যাটা ভারত সিরিজেও দেখা গেছে। এ নিয়ে তামিম বলেন, ‘ভারত সিরিজের সময় উভয় দলের টপ অর্ডার সমস্যায় ছিল। পুরোনো বলের বিপক্ষে মিডল অর্ডার ভালো করেছে। আমরা গ্রুপ হিসেবে এটা নিয়ে কথা বলছি, কীভাবে আমরা সমস্যাটি কমিয়ে আনতে পারি।’