কতোটা ভালো কোচ হতে পারবেন সুজন?

খালেদ মাহমুদ সুজন নানা কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র। খেলোয়াড়ি জীবনে আহামরি কিছু না করতে পারলেও দেশীয় মিডিয়া তাকে ‘ফাইটার’ অভিধায় ভূষিত করেছিলো। এর অবশ্য কারণও ছিলো। তখন বাংলাদেশ দলের সেরা পারফর্মারই ছিলেন তিনি। এবার সুজন স্বপ্ন দেখছেন জাতীয় দলের কোচ হওয়ার। কতোটা ভালো কোচ হতে পারবেন তিনি?

ঘরোয়া ক্রিকেটে খালেদ মাহমুদের কোচিং ক্যারিয়ার বেশ ইর্ষণীয় পর্যায়ে আছে এখন। দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তিনি পরপর দুইবার শিরোপা জিতিয়েছেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ও আবাহনীর মতো দলকে। আবাহনীকে তো প্রায় ঘোষণা দিয়েই শিরোপা এনে দিয়েছেন তিনি।

এরপর বিপিএলে কোচিং করাতে এসেই শিরোপা জিতলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে। সব মিলিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে দেশীয় কোচদের মধ্যেই তিনিই এখন এক নম্বরে আছেন। এমন কোচ যদি জাতীয় দলে যান, তাহলে নিশ্চয় ভালো কিছু হবে, এমনটা ভাবা যেতেই পারে।

কিন্তু আসলেই কি তাই হবে? আবাহনী ও ঢাকার হয়ে তিনি যে দুটি শিরোপা জিতেছেন, এই দুটি শিরোপা জয়ের সঙ্গে লেগে আছে অনেক বিতর্কও। বিশেষ করে আবাহনীর হয়ে সর্বশেষ ঢাকা লিগ জেতাটা ছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক ‘কলঙ্কময়’ অধ্যায়।

একের পর এক ম্যাচে আম্পায়ারদের নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্ব পেয়েছে আবাহনী। ক্রিকেট বোর্ডের বড় কয়েকজন কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ মদদও পেয়েছে তারা। গুঞ্জন আছে, আবাহনীর সুবিধার্থে পূর্বনির্ধারিত ভেন্যুও বারবার বদল করেছে লিগ কর্তৃপক্ষ।

বিপিএলে ঢাকা লিগের মতো ‘কেলেঙ্কারি’ না ঘটলেও, বিতর্ক কম হয়নি। বিশেষ করে কোয়ালিফায়ার ম্যাচে এবং ফাইনালে ঢাকার মতো আম্পায়ারদের পক্ষপাতিত্ব ছিলো একেবারে দৃষ্টিকটু পর্যায়ের।

কিন্তু আম্পায়ার পক্ষপাতিত্ব করেছেন, চোখে দেখে এই কথাটা যতো সহজে বলে দেয়া যায়, ততো সহজে প্রমাণ করা সম্ভব নয়। সুতরাং কোচ হিসেবে সুজনের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই। সুতরাং তিনি যদি জাতীয় দলের কোচ হয়েই যান, তবে কতোটা কী হতে পারে, আলোচনা চলতে পারে এ বিষয়ে।

বর্তমান প্রজন্মের খেলোয়াড়দের কাছে ব্যক্তি সুজনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত রকমের ভাল। এই একটা ব্যাপার দলের মধ্যে কোচ হিসেবে তার দিতে পারে বাড়তি একটা সুবিধা। এ ছাড়া সুজনের ক্রিকেট মস্তিষ্ক নিয়েও কোনো রকম প্রশ্ন নেই। এখন শুধু বাদ থাকে কোচ হিসেবে তার টেকনিক্যাল যোগ্যতা নিয়ে। সুজন যদি সেটাতেও উতড়ে যেতে পারেন, তবে কোচ হিসেবে তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা দারুণ।

এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘আমি কোচিংটাই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। ইচ্ছে আছে জাতীয় দলের কোচ হওয়ার। জানি না সেটা কখনো পারবো কিনা। কিন্তু যতোদিন শরীরে সইবে, আমি চেষ্টা করে যাবো।’

আপনি আরো পড়তে পারেন

সাকিবদের ছেড়ে গেলেন ওয়াসিম আকরাম

লজ্জার ইতিহাস গড়ে ভারতের কাছে ইংলিশদের হার

অস্ট্রেলিয়ায় মুশফিক-মোস্তাফিজদের অনুশীলন শুরু

‘গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গে’র অপরাধ করেছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটারও!

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই আশরাফুলের সেঞ্চুরি