বড় হারে হোয়াইটওয়াশের মুখে বাংলাদেশ

ম্যাচটার ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেছে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষেই। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ওয়ানডে সংস্করণে কোনো দল যখন তিন শ’ ছাড়ায় তখন আসলে ম্যাচটার ফল অনুমান করতে বেগ পেতে হয় না। খুব স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হেরে গেছে বাংলাদেশ দল। টাইগারদের হার ১৩২ রানের বিরাট ব্যবধানে।

এক ম্যাচ বাকি থাকতে ওয়ানডে সিরিজ জিতে গেল ইংল্যান্ড

আজ টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সাত উইকেটে ৩২৬ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড। জবাবে ম্যাচের ৩২ বল বাকি থাকতে ১৯৪ রানে গুটিয়ে যায় তামিম ইকবালের দল। এই হারে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে গেল ইংলিশরা। আগামী সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হোয়াইটওয়াশ ঠেকাতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

ইংল্যান্ডের বড় সংগ্রহের নায়ক ওপেনার জেসন রয়। ১২৪ বলে ১৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ইংলিশ ওপেনার। পরে ৬৪ বলে ৭৬ রানের ঝড় ওঠে অধিনায়ক জস বাটলারের ব্যাটে। এ ছাড়া মঈন আলি ৩৫ বলে ৪২ এবং স্যাম কারান ১৯ বলে ৩৩* রান করেন। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল তাসকিন আহমেদ ৬৬ রানে নেন দুই উইকেট।

ম্যাচ শেষে সৌজন্যতা বিনিময় করেন জস বাটলারও তামিম ইকবাল

৭৩ রানে দুটি শিকার মেহেদি হাসান মিরাজের। অন্য দুই উইকেটের মালিক সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলাম। বোলাররা লক্ষ্যমাত্রা নাগালে রাখতে পারেননি। পরে ডুবিয়েছেন ব্যাটাররাও। হিমালয়তুল্য লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই মহাবিপর্যয় নেমে আসে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে। দলীয় নয় রানে সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম।

এই ত্রয়ীর মধ্যে প্রথম দুজন মেরেছেন ‘গোল্ডেন ডাক’। পরে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে উইকেটের রাশ টেনে ধরেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দলীয় ৮৮ রানে ভাঙে চতুর্থ উইকেট জুটি। জুটি বিচ্ছিন্ন হয় ৬৫ বলে তামিম ৩৫ রানে বিদায় নিলে। ব্যক্তিগত ফিফটি ছাড়ানোর পর সাজঘরে ফিরে এলেন সাকিবও। ৬৯ বলে ৫৮ রানে আউট হন বাঁহাতি অলরাউন্ডার।

অভিজ্ঞ দুই ব্যাটারের আউটের পর হারের ব্যবধান কমাতে লড়াই শুরু করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউ। মাহমুদউল্লাহ ৩২ এবং আফিফ ২৩ রানে আউট হন। শেষ দিকে ২১ বলে ২১ রানের দারুণ ইনিংস খেলে রানআউট হয়ে যায় পেসার তাসকিন। দুশোও ছোঁয়া হলো না বাংলাদেশের।

টাইগারদের ধসিয়ে দিয়েছেন স্যাম কারান ও আদিল রশিদ। দুজনই সমান চারটি করে উইকেট নিয়েছেন। কারান টপ অর্ডার এবং রশিদ গুঁড়িয়ে দেন টাইগারদের মিডল অর্ডার। মইনের শিকার একটি। প্রথম ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশকে। পরশু ওই ম্যাচে বোলারদের কল্যাণে ইংলিশদের বিপক্ষে লড়াই করে হেরেছে টাইগাররা। অথচ আজ দাঁড়াতেই পারল না তারা।

ম্যাচটা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের জন্য ছিল বিশেষকিছুর উপলক্ষ্য। ইতিহাসের ষষ্ঠ ভেন্যু হিসেবে ২০০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের মাইলফলক ছুঁয়েছে মিরপুর। এদিনই বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৪০০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন সাকিব। কিন্তু বিপর্যস্ত হারে দুঃস্বপ্নের মাইলফলকটা নিশ্চয়ই ভুলে যেতে চাইবেন তিনি।