শান্তর মনোমুগ্ধকর ব্যাটিং

লিটন দাস রান করলে তাকে নিয়ে এটা প্রায় বলতে শোনা যায়। উইকেট কিপার এই ব্যাটার যেদিন নিজের ছন্দে থাকেন সেদিন তার ব্যাটে রান করতে দেখাটা যেন কোনো শিল্পীর তুলির আচর। এই কথাটা নাজমুল হোসেন শান্তর বেলায়ও খাটে। কিন্তু শান্তর ব্যাটে তা দেখা যেত কালেভদ্রে।

নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে আজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ

আশার কথা হলো, শান্তর ব্যাট এখন ধারাবাহিক হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তার ফর্মটাকে টেনে এনেছেন ইংল্যান্ড সিরিজে। প্রথম ওয়ানডেতে শূন্য রানে ফিরলেও পরের দুই ওয়ানডেতে করেছেন পরপর দুই ফিফটি। ওয়ানডের সেই ফর্মটাকে আজ টেনে আনলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে। বিস্ফোরক ব্যাটিং করে আজ জিতিয়েছেন দলকে। তার থেকেও বড় কথা শান্ত যেভাবে ব্যাটিং করেছেন সেটা অনেকদিন চোখে লেগে থাকার মতো।

১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে আজ ভয়ডরহীন ক্রিকেটের বার্তাটা দেন রনি তালুকদার। আট বছর পর দলে ফিরে মারমুখী ব্যাটিং করেন তিনি। রনির ঝড়টা থামে ১৪ বলে ২১ রানে। তবে রনির তাণ্ডব থামলেও চট্টগ্রামে ইংল্যান্ড বোলারদের ওপর আসল ঝড়টা শুরু হয় তার পরেই। যে ঝড়ের নাম শান্ত।

শান্ত ব্যাটিংয়ে নামেন ম্যাচের চতুর্থ ওভারে। শুরু থেকেই বলের থেকে রান বেশি তুলে খেলেছেন। তবে তার ভয়ঙ্কর রূপটা বেশি দেখেছেন ইংলিশ পেসার মার্ক উড। ইনিংসের সপ্তম ওভারে গতিময় এই বোলারকে শান্ত গুনে গুনে টানা চারটি বাউন্ডারি হাঁকান। শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ওই ওভার থেকে ১৭ রান তোলেন বাহাতি এই ব্যাটার।

শান্ত ইনিংসে ছক্কা মারেননি একটিও, তা সত্ত্বেও মাত্র ২৮ বলেই তুলে নেন ক্যারিয়ারে নিজের সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটি। তার অমন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ইংলিশদের সংগ্রহকে মামুলি বানিয়ে ফেলেন। ১২তম ওভারে যখন ৩০ বলে ৫১ রান করে আউট হন ততক্ষণে বাংলাদেশ জয়ের নাগালে। জিততে প্রয়োজন তখন ৪৬ বলে মাত্র ৪৫ রান। জয়ের জন্য আসল কাজটা শান্ত করে দিলে বাকি পথটুকু পাড়ি দেন সাকিব আল হাসান এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব।