টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের যত হোয়াইটওয়াশ

ঐতিহাসিক থ্রিলার জয়ে আজ মঙ্গলবার মিরপুরে সফরকারী ইংল্যান্ডকে তৃতীয় এবং শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে যাদের বিপক্ষে কোনো ফরম্যাটেই সিরিজ জয় ছিল না, সেই ইংলিশদের এবার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নাস্তানুবাদ করে ছেড়েছে সাকিব আল হাসানের দল।

২০১২ সালে আয়ারল্যান্ড সফরে বেলফাস্টে স্বাগতিকদের বাংলাওয়াশ করে বাংলাদেশ

আগের দুই জয়ের পর আজ বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল জস বাটলারের দলকে বাংলাওয়াশের লজ্জায় ডুবানো। সে লক্ষ্যে টাইগারবাহিনী পুরোপুরি সফল তাতো এতক্ষণে জেনেই গেছেন। এখন জানা যাক বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এর আগে কতবার প্রতিপক্ষ দলকে হোয়াইটওয়াশ করতে পেরেছে।

টি-টোয়েন্টি যুগে পদার্পণ করার প্রথম বছরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় পায় বাংলাদেশ। খুলনায় ৪৩ রানের সেই জয়ে সিরিজও জেতে বাংলাদেশ। অবশ্য এক ম্যাচের সিরিজ ছিল সেটি। বাংলাদেশ এরপর এক ম্যাচের সিরিজ জিতেছে আরও বেশ কয়েকবার।

তবে দুই বা ততোধিক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথমবার বাংলাদেশ খেলার সুযোগ পায় ২০১২ সালে। মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে সেবার আয়ারল্যান্ড সফর করে বাংলাদেশ। সফরে প্রথম ম্যাচে ইলিয়াস সানির ঘূর্ণিতে ৭১ রানের সহজ জয় পায় বাংলাদেশ।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ তে সিরিজ জেতার পর ট্রফি হাতে বাংলাদেশের উল্লাস

এরপর সিরিজের দ্বিতীয় দেখায় লো-স্কোরিং ম্যাচে এক রানের থ্রিলার জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। সিরিজ জিতে তৃতীয় ম্যাচেও কষ্টার্জিত জয় পায় বাংলাদেশ। আর সেই জয়ের পর শর্টার ফরম্যাটে প্রথমবার বাংলাওয়াশ করার স্বাদ নেয় টাইগাররা। এরপর টি-টোয়েন্টিতে দুই বা ততোধিক ম্যাচের সিরিজে বাংলাওয়াশ করার স্বাদ পেতে টাইগারদের অপেক্ষা করতে হয় আরও সাত বছর। ২০১৯ সালের এই মার্চেই সফরকারী জিম্বাবুয়েকে দুই ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ।

তারপরের বাংলাওয়াশের গল্পটা গেল বছরের। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আরব আমিরাত সফর করে বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল দুই ম্যাচের সিরিজে দুটিতেই হারায় স্বাগতিকদের।

এরপরতো আজ মিরপুরে ইতিহাস রচনা করলো বাংলাদেশ। চারবারের এই বাংলাওয়াশের গল্পে নিশ্চিতভাবেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আজকের বাংলাওয়াশকে বাংলাদেশি ক্রিকেট সমর্থকরা অনেকদিন মনে রাখবেন। আর সেটাই কি স্বাভাবিক নয়?